বলার মত পারফরম্যান্স ছিল না দলের কারোই। শুধু অভিষিক্ত আবু হায়দার রনির ২ দুইকেট ও অলরাউন্ডার সাকিব আলা হাসানের ৪ উইকেট ছাড়া এক কথায় সবার পারফরম্যান্সই হতাশার।
সাধারণত ইনিংসের শুরু করতে দেখা যায় মাশরাফিকে। কিন্তু এদিন ম্যাচে নতুন বল তুলে দেওয়া হয় পেসার রুবেল হোসেনের হাতে। নিজে বোলিংয়ে আসেন অনেক পরে। ডেথ ওভারের দায়িত্বটাও নিজের কাঁধে নিয়ে নেন। কিন্তু তার দেওয়া ৪৮ নম্বরে ওভারে ১৭ রান ও ৫০ নম্বর ওভারে ১৯ রানই আফগানিস্তানকে ম্যাচে নিয়ে আসে।
ম্যাচ শেষে বিশেষজ্ঞরাও মাশরাফির এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে কাঁটাছেড়া করতে বসে যান। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় ক্রিকইনফোর স্টোডিওতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজিত আগারকর।
ম্যাচে মাশরাফির থাকা নিয়ে প্রশ্নই তুলে ফেলেন আগারকর। বলেন, ‘রশিদ ও নাইব শেষের দিকে মাশরাফিকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। যদি তার দলে থাকার কারণ এটা হয় যে সে দলকে একত্র করে রাখে এবং মেন্টরের ভূমিকা পালন করে, আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত নই। আমি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, আপনি দলের নেতা হলে আপনাকে অবশ্যই দলের অন্যতম সেরা পারফরমার হতে হবে। মাশরাফির এমন পারফরম্যান্স এটা সমর্থন করে না। ’
কিন্তু তার এমন অভিযোগের প্রত্যাখ্যান করেন ভিডিও কলে স্টুডিওতে যোগ দেওয়া বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। তার মতে, শুধু দলনায়ক নয়, পারফরম্যান্স দিয়ে দলে আছেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘খেলা শুরু হওয়ার পর মাশরাফিকে ফুল হাতা জার্সি পরিহিত অবস্থায় দেখার পরেই বুঝেছিলাম, সে আজ ওপেনিংয়ে বল করবে না। সে সাধারণত নতুন বলে বল করে এবং ৪০ ওভারের মধ্যেই নিজের কোটা শেষ করে। বাংলাদেশ এ ম্যাচে ভিন্ন কিছু চেষ্টা করেছে। রুবেল, রনিদের দিয়ে শুরুতে বোলিং করিয়েছে। মাশরাফি পরে বল করেছে। ’
‘অজিতের সাথে আমি একটি পয়েন্টে দ্বিমত পোষন করছি। গত কয়েক বছর ধরে বল হাতে বাংলাদেশের সেরা পারফরমারের নাম মাশরাফি। এমন না যে সে দলের মেন্টর হিসেবেই দলে আছে। নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই সে দলে আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমকেএম