গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুজিব-রশিদদের স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটসম্যান। সাম্প্রতিক হারের এমন দগদগে ঘা নিয়েও ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বেশ সহজেই বলে দিলেন, ‘এখন যদি ছন্দের কথা চিন্তা করেন, অবশ্যই আফগানিস্তান ভালো ক্রিকেট খেলেছে এখনো পর্যন্ত।
কথাটা শুনে আকাশ থেকেই পড়ার কথা। এ কি বলছেন সাকিব! কিন্তু তার কাছে যুক্তিও আছে, ‘ওদের চেয়ে বড় দলের বিপক্ষে আমরা বেশি ম্যাচ জিতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভালো, র্যাঙ্কিংয়েও ওদের চেয়ে এগিয়ে। ‘
একদিক থেকে দেখলে সাকিব ঠিকই বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। বড় বড় দলকে ঘায়েল করেছে। ভালো খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সাতে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ, যেখানে আফগানরা আছে দশে।
কিন্তু এই আফগানিস্তান আগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এই দলে ২০ বছর বয়সী এক জাদুকরি স্পিনার আছেন, যার নাম রশিদ খান। সেই সঙ্গে যদি মুজিব উর রহমানকেও হিসেব করা হয় তাহলে এমন স্পিন আক্রমণ বিশ্বের আর কোনো দলেই নেই। কঠিন বোলিং লাইনআপের আফগানদের বিপক্ষেও আশা দেখছেন সাকিব।
‘যেহেতু এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি এবং এ পরিস্থিতি উতরে যেতে সক্ষম হয়েছি, আশা করি এবারও আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা খেলে অভ্যস্ত চেষ্টা করব সেটা যেন খেলতে পারি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা অবশ্যই সহজ হবে না। তবে না হওয়ার পরিস্থিতিতে আমরা নেই, সেটা মনে করি না। ’
রশিদ খান যে আলাদা এক জুজু তা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তাকে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও তার বাইরে নন অবশ্যই। তাকে সামলানো যে কঠিন হবে তা বুঝেই সাকিব বললেন, ‘টিম মিটিংয়ে আশা করি এটা নিয়ে আলোচনা হবে। সব খেলোয়াড়ই আলাদা। আমি যেভাবে তাকে সামলাতে যাব আরেকজন নিশ্চয়ই একইভাবে সামলাবে না। যার যার জায়গা থেকে নিজস্ব উপায়ে তাকে সামলাতে হবে। এটা পেশাদার ক্রিকেট, এভাবেই দেখতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এমএইচএম