ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ডিভোর্সে অনড় মোসাদ্দেক, সিদ্ধান্তহীনতায় সামিয়া 

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৮
ডিভোর্সে অনড় মোসাদ্দেক, সিদ্ধান্তহীনতায় সামিয়া  সামিয়া ও মোসাদ্দেক

ময়মনসিংহ: অবশেষে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষাকে। সমঝোতা বৈঠকে বিচ্ছেদ থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্তেই নিজের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মোসাদ্দেক। 

তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন রয়েছেন সামিয়া। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি আরো একদিন সময় চেয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে দু’ধাপে সামিয়া ও মোসাদ্দেকের সঙ্গে বসেন অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী।  

প্রথমে বেলা সাড়ে ১১টায় সামিয়া ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন তিনি। এরপর বিকেল সোয়া ৩টা থেকে মোসাদ্দেকের কথা শোনেন। পরে লিখিত জবানবন্দি শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন এই অলরাউন্ডার।  

পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর খালাতো বোন সামিয়া শারমিন উষাকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর বছর দু’য়েক যাবত দু’জনের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। দাম্পত্য কলহ চরম আকারে নেয়।  

এরপর ২৬ আগস্ট দুপুরে সদর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।  

মোসাদ্দেক ও তার পরিবারিক সূত্র গণমাধ্যমকে একাধিকবার অভিযোগ করে বলেন, দেশের মানুষের চোখে আমাকে এবং আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ডিভোর্স পাঠানোর ১০ দিন পর বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির মামলা করা হয়। এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।  

এসব ঘটনার পর মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দিনভর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দিকেই দৃষ্টি ছিল সবার। সামিয়া ও মোসাদ্দেককে আলাদাভাবে ডাকা ও তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বাংলানিউজকে বলেন, দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সামিয়া অধিদপ্তরে এসেছিলেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তার সঙ্গে কথা বলেছি।

সামিয়ার কাছে জানতে চেয়েছি তুমি কী সিদ্ধান্ত নিতে চাও? উত্তরে সামিয়া জানিয়েছে, আমাকে একদিন সময় দেন। আমার ছয় ভাই আমার অভিভাবক। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিদ্ধান্ত জানাবো। তার প্রত্যাশা মাফিক তাকে সময় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ৯০ দিন না হওয়ায় এখনো ডিভোর্স কার্যকর হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। ফলে সমঝোতা বৈঠকের শুরুতেই তিনি মোসাদ্দেককে অনুরোধ করেন পুনরায় সংসার করার। কিন্তু মোসাদ্দেক ডিভোর্সের বিষয়ে নিজের অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।  

মোসাদ্দেকের জবানবন্দির বিষয়ে তদন্তকারী এ কর্মকর্তা বলেন, দেড় বছর যাবত সামিয়া নাকি মোসাদ্দেককে বলেছে, তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। প্রায় সময়েই একথা বলেন। আবার মোসাদ্দেককে সন্দেহও করেন।  

ডিভোর্সের পর আইনত যেটা পাবে সেটা সামিয়াকে পরিশোধ করবেন বলেও জানিয়েছে মোসাদ্দেক।  

তিনি জানান, সামিয়া ও তার পরিবার সিদ্ধান্ত জানানোর পর মোসাদ্দেকের লিখিত জবানবন্দিসহ আদালতে নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮ 
এমএএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।