ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বোঝানো যাবে না’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৮
‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বোঝানো যাবে না’ ভারতের কাছে হেরে হতাশ যুবারা বসে পড়েন-ছবি: ছবি: শোয়েব মিথুন

এইতো সেদিন বড়দের এশিয়া কাপে শেষ পর্যন্ত লড়েও হার সঙ্গী হওয়ায় হৃদয় ভেঙেছে টাইগারদের। আজ আবার সেই হৃদয়ভাঙা হার। এবারও শেষ মুহূর্তে হার, প্রতিপক্ষ সেই ভারত। তবে এবার হারটা ভারতের যুব দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ যুব দলের। নাটকীয় ম্যাচে মাত্র ২ রানের এই হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

কিন্তু এমন হার মানতে কষ্ট হচ্ছে যুবাদের। ম্যাচ শেষে হতাশায় মাঠেই শুয়ে পড়েন দুই ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান ও মিনহাজুর রহমান।

মাঠের বাইরে জয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকা বাকি খেলোয়াড়দের চোখে চিকচিক করে ওঠে জল। কেউ কেউ সেই কান্না থামাতে গিয়েও পারছিলেন না। ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন সবাই। ম্যাচ শেষে এমনটা জানালেন যুব দলের সদস্য শামিম হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) যুব এশিয়া কাপের সেমি ফাইনালে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয়ে ১৭২ রানে অল আউট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ফাইনালে উঠতে তৌহিদ হৃদয়দের প্রয়োজন ছিল ১৭৩ রান। কিন্তু শামিম হোসেন-আকবর আলীর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

জয় থেকে তখন মাত্র ২৫ রান দূরে বাংলাদেশ, ঠিক সেসময় সপ্তম উইকেট হিসেবে বিদায় নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। হাতে তখনও ১০ ওভার। কিন্তু দলীয় ১৬১ রানেই ভরসা হয়ে থাকা শামিম হোসেন (৫৯) বিদায় নেওয়ার পর স্কোর বোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হতেই অষ্টম ও নবম উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।  

তবু হাতে তখনও ১ উইকেট আর ৬.৪ ওভার ছিল। কিন্তু ৪৭তম ওভারে শেষ উইকেট হিসেবে রানআউট হয়ে মিনহাজুর রহমান যখন ফিরলেন তখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। একদম তীরে এসে তরি ডুবা যাকে বলে।

এমন পরাজয়ের কষ্ট মানতে না পারা শামিম তাই ম্যাচ শেষে বললেন, 'এমন হারের কষ্টটা তো বলে বোঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার। ' কথাটা বলেই কেঁদে ফেললেন দলের হয়ে এই ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান।

তবে এমন হার থেকেও শিক্ষা নিতে চান শামিম। 'এই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেওয়ার আছে। আসলে হাঁটতে হাঁটতে মানুষ জয়ের পথে যায়। সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্টগুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। '

এমন হারে কষ্ট লাগবেই। কিছুদিন আগে বড়দের হার আর এবার যুবাদের হার। এমন হারের বৃত্ত হয়তো একদিন ভাঙবে। হয়তো সেদিন মাঠে শামিমরা থাকবেন না। হয়তো এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচশেষে সুখী চেহারা নিয়ে হাজির হবেন দলের সেসময়ের প্রতিনিধি। হয়তো কোনো একদিন তরি ঠিকই তীরে ভিড়বে। সুখের স্বপ্ন দেখা সত্যি আনন্দের। কিন্তু তা আজ আর হলো না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।