মূলত অলরাউন্ডার হলেও মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই মারকুটে স্বভাবের জন্যই বহুবার ডাক মেরে মাঠ ছেড়েছেন একসময় ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।
১৯৯৬ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই দ্রুততম সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন আফ্রিদি। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে তার ক্যারিয়ারের বড় একটা অংশজুড়ে আছে ‘ডাক মোমেন্ট’। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৫২৩টি ম্যাচে ৪৪ বার ডাক মেরেছেন তিনি।
আফ্রিদি ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাক মেরেছেন ৩০টি, যা ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছে সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক সনথ জয়সুরিয়া (৩৪)। টি-টোয়েন্টিতে তো সবার ওপরের স্থানেই আছেন তিনি। এই ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ বার আর ঘরোয়া লিগে ২১ বার মিলিয়ে মোট ২৯ বার। টেস্টে অবশ্য তুলনমূলক কম ডাক মেরেছেন (৬ বার)। অবশ্য খেলেছেনই মাত্র ২৭ টেস্ট।
তবে ডাক মারায় সবার ওপরে আছেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৫৯)। তবে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আফ্রিদির ডাক সংখ্যা ৮১টি। সব ঘরোয়া লিগেই ডাক মারার বিরল রেকর্ড সম্ভবত তার একারই দখলে আছে। সর্বশেষ ডাক মারার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে ‘ডাক মাস্টার’ খেতাব দিচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, 'বিশ্ব ডিম দিবসে' ডাক মেরেছেন আফ্রিদি।
আফগান লিগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কান্দাহার নাইটসের বিপক্ষে ডাক মারলেও বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে ১ উইকেট পেয়েছেন এই স্টাইলিশ স্পিনার।
ব্যাট হাতে মাত্র ২ বল খেলেই ডাক মারার পর তাকে নিয়ে হালকা রসিকতা করে বসেন দারুন ক্যাচ ধরে আউট করা আফগান অধিনায়ক আসগার আফগান। তখন ইনিংসের ১০ম ওভার চলছিলো। বোলিংয়ে ছিলেন ওয়াকার সালামখেইল।
যখনই দর্শক আফ্রিদির কাছে ‘বুম বুম’ ইনিংস প্রত্যাশা করছিল ঠিক সেসময়ই শুন্যে ক্যাচ তুলে দিয়ে ডাক মেরে বসলেন তিনি। আর ক্যাচ ধরে ঠিক আফ্রিদির উদযাপন ভঙ্গিমা নকল করে হালকা রসিকতা করে নিলেন আসগর।
আফগান লিগের শুরুটা ব্যাট হাতে মোটেও ভালো হলো না আফ্রিদির। চার ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ১, ১৯, ১* ও ০। বল হাতেও চার ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এমএইচএম