আরও একটি সুখবর এসেছে সাকিবের জন্য। আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার আবেদন জানিয়ে প্রাথমিকভাবে বিসিবির সাড়া না পেলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি আগের জায়গা থেকে সরে আসায় লিগে অংশ নেয়ার সবুজ সংকেত মিলেছে।
‘অবশ্যই স্বস্তির। ভালো দিক হচ্ছে যদি ওই সময়ের আগে ফিট হতে পারি, তার আগে কিছু খেলা খেলতে পারি আমার জন্য ভাল একটা প্রস্তুতি হবে। প্রস্তুতি এই অর্থে যেহেতু বেশ বড় একটা ইনজুরি থেকে এখন সেরে ওঠার পথে অতএব এই খেলাগুলো আমার জন্য দরকার। কারণ আমার বেশ বড় একটা বিরতি হয়ে যাচ্ছে খেলার। তাই পূর্ণ ছন্দে আসার জন্য আমার মনে হয় এই খেলাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’
‘মাঠে ফিরছি এমন কোন টাইমফ্রেম নেই। যদি ফিরতে পারি ভালো লাগবে। আশা তো থাকবেই যেন ফিরতে পারি। কিন্তু এখনই বলা মুশকিল যে খেলব। এই নিশ্চয়তা তো আসলে নেই। কিন্তু যে ভাবে আমার ইনজুরি সেরে উঠছে তাতে সম্ভাবনা আছে। ’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মাঝামাঝি সাকিব মাঠে ফিরছেন তথ্যটি মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমকে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান আকরাম খান। তবে সাকিবের কথায় বিষয়টি স্পষ্ট যে তিনি তার আঙুলে কোন ব্যথা অনুভব না করলে সিরিজের শুরু থেকেই টাইগার স্কোয়াডে পাওয়া যাবে।
‘ফিজিওর সঙ্গে আমার যে ধরনের আলোচনা হয়েছে আমরা কোন টাইম ফ্রেম রাখব না। যখনই ভাল অনুভব করব, ট্রেনিং শুরু করব। পরের সপ্তাহ থেকে স্ট্রেংথ ট্রেনিং শুরু করতে হবে। তারপরে যখন আস্তে আস্তে সবদিক থেকে উন্নতি হতে থাকবে এবং যখন দেখব সবদিক থেকে আমি কোন সমস্যা বোধ করছি না তখনই খেলা শুরু করব। তার আগেও আমাকে অনুমতি দেবে না, আমিও খেলব না। এই কারণেই আমরা টাইমফ্রেম বলতে পারছি না। এমনও হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরেজের প্রথম টেস্ট থেকে খেলতে পারি, এমনও হতে পারে দ্বিতীয় টেস্ট আবার এমনও হতে পারে ওয়ানডে পর্যন্ত নাও খেলতে পারি। আবারও বলছি ইমপ্রুভমেন্ট যেভাবে হচ্ছে তাতে বেশি সময় লাগার কথা না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম