শুক্রবার (৯ নভেম্বর) আবুধাবীতে শাহিন আফ্রিদির বোলিং তোপে পঞ্চাশ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৯ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ছোট সংগ্রহ পার হতে ৪০.৩ ওভার লাগে পাকিস্তানের।
বলে বলে রান তুলে রানের চাকা সচল রাখেন ফখর জামান। মূলত এক প্রান্তে একাই লড়ে গেছেন ৮৮ বলে ১১ চারে ৮৮ রান করা ফখর। আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক হেলমেটে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে ফখরকে যোগ্য সঙ্গ দেন বাবর আজম (৪৬)।
কিউইরা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়ে যায় যখন লোকি ফার্গুসন এক ওভারেই ফখর জামান ও বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন। তবে টার্গেট ছোট হওয়ায় উইকেট পতন খুব একটা সমস্যার কারণ হয়নি পাকিস্তানের জন্য, কারণ ততক্ষণে প্রায় ২৯ ওভারে ১৫৬ রান তুলে ফেলেছেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা।
বাবরের বিদায়ের পর মোহাম্মদ হাফিজ (২৭*), শোয়েব মালিক (১০), সরফরাজ আহমেদের (১৩) ছোট ছোট ইনিংসে খুব সহজেই টার্গেট পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় আসা কিউই ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট এদিনটা ভুলেই যেতে চাইবেন। ১০ ওভার বল করে ৬০ রান খরচ করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি এই গতিতারকা।
পাকিস্তানের জন্য জয়ের উদযাপনটা কঠিন হয়ে গেছে যখন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইমাম-উল-হক কিউই পেসার ফার্গুসনের বাউন্সারে মুখে আঘাত পান। হেলমেট থাকা সত্ত্বেও আঘাতটা বেশ জোরেই লেগেছে, কারণ সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়েছে। তবে পরে দলের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন তিনি। বড় কোনো সমস্যা হয়নি তার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান। আর এর পেছনে বড় অবদান তাদের বোলারদের। বিশেষ করে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়া আফ্রিদি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ (১/৩১) ও শাদাব খান (২৫/১)।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই কিউই ওপেনার কলিন মুনরোকে তুলে নিয়ে উইকেট পতনের শুরু করেন আফ্রিদি। এরপর চতুর্থ ওভারে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে রান আউট করে দেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন রস টেইলর। কিন্তু ১২০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো তার অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংসও ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি দলকে। আর তাকে যোগ্য সঙ্গও দিতে পারেনি কোন কিউই ব্যাটসম্যান।
আগামী রোববার (১১ নভেম্বর) দুবাইয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এমএইচএম