ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাবার অবদানের কথা বললেন সাদমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
বাবার অবদানের কথা বললেন সাদমান মিরপুর টেস্ট দিয়েই অভিষিক্ত হয়েছেন সাদমান ইসলাম-ছবি শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটুইয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মিরপুর টেস্টে অভিষিক্ত সাদমান ইসলামের বাবা বিসিবি’র গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম। অফিস কক্ষ থেকেই দেখা যায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। অথচ ছেলের অভিষেক ম্যাচ দেখার সৌভাগ্যই হলো না তার! গেল সোমবার ইহকাল ছেড়ে পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন সাদমানের নানা। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) তাই গোপিবাগে শ্বশুরালয়ে ছিল কুলখানি। সেখানেই তাকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস এই দিনেই সাদমানকে টেস্ট ক্যাপ পড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার ছোঁয়ায় অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ালেন।

১৯৯ বলে খেললেন ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। যা বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দিয়েছে। দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান করেছে কোচ স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।
 
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে সাদমানের বাবার মুল কাজ তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনা ও তাদের দেখভাল করে জাতীয় দলের আঙিনায় পৌঁছে দেয়া। ২০০৪ সাল থেকে সেই কাজটিই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন শহিদুল ইসলাম। যে প্রক্রিয়ার অধীনে সাদমানও ছিলেন লম্বা সময়।
 
সঙ্গত কারণেই শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) প্রথম দিনের খেলা শেষে যখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তখনই উঠে এলো বাবার প্রসঙ্গও। এখানে আসতে বাবার ভূমিকা কতখানি?
 
উত্তরে সাদমান জানালেন, ‘আব্বু সবসময় আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে। আমি যখন অনেক ছোট তখন অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাম্পে আমাকে নিয়ে যেতেন। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলছে ....আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে খেলার জন্য। কীভাবে খেলতে হয়,,,কীভাবে লাইফ সেট করতে হয় ক্রিকেটারদের; ওগুলো আমাকে এখনও বলে। নিজেকে চেষ্টা করি ওভাবে রাখার। ’
 
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডের অনেকেই জানতেন না যে সাদমান শহিদুলের সন্তান। চার বছরেরও বেশি সময় বাবার বিভাগের ছাত্র ছিলেন সাদমান। অথচ মাঠে বাবা-ছেলে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করে গেছেন শুরু থেকেই। তার লক্ষ্য ছিল একটিই; যোগ্য হলে তবেই ছেলে জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। কেউ যেন ভুলেও আঙুল তুলে বলতে না পারে, ‘ওই যে দেখুন, বাবার জোরে ছেলে জাতীয় দলে খেলছে। ’
 
অবশ্য সেই সুযোগটিও সাদমান রাখেননি। ব্যাট হাতে অভিষেকেই বাজিমাত করে অন্তত একটি বার্তা বোধ হয় তিনি বেশ জোরেশোরে দিতে পেরেছেন, বাবার জোরে নয়, নিজের ব্যাটের জোরে আজ লাল সবুজের আঙিনায় তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।