ছয়মাস পরে বাংলাদেশ সফরে আসা দলটিকে হুবহু না হলেও সেই যন্ত্রণা ৮০ ভাগ ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে লাল-সবুজের দল। নিজেদের কন্ডিশনে স্পিন স্বর্গ গড়ে চট্টগ্রামের প্রথমটিতে তৃতীয় দিনেই ৬৪ রানে পাওয়া জয়ের পর ঢাকায় দ্বিতীয়টিতেও এলো সেই তৃতীয় দিনের জয়।
দ্বিতীয় জয়টি অবশ্য ঐতিহাসিক। ১৮ বছরের পথ চলায় এই প্রথম কোনো দলকে ফলোঅনে ফেলে প্রথমাবারের মতো ইনিংস ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ। পার্থক্য থাকল কেবল দুটি ক্ষেত্রে; প্রথমটি সাকিবরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল। আর দ্বিতীয়টি; নিজেদের মাটিতে ওদের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহের লজ্জা দেয়া গেল না।
এই দুটি ক্ষেত্র বাদ দিলে বাদ বাকিতে তৃপ্ত টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। রোববার (০২ ডিসেম্বর) শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের এই তৃপ্তির কথাই জানালেন অধিনায়ক।
বলেন, ‘জবাব দেয়া না। কিন্তু এখন যেটা হয় হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের একটা এডভানটেজ থাকে। ওরা ওদের হোমে অ্যাডভানটেজ নিতে পেরেছে, আমরা আমাদের হোমে অ্যাডভানটেজ নিতে পেরেছি। ওভাবে হারার পর অবশ্যই অনেক কিছু প্রমাণ করার ছিল বিশেষ করে হোমে; সেটা আমরা করতে পেরেছি। সেটার জন্য আমি প্রতিটা টিমমেটকে ধন্যবাদ জানাই। কোচিংস্টাফ থেকে শুরু করে সবাই যারা জিনিসটা বিশ্বাস করেছে সিরিজ শুরুর আগে। ’
‘সত্যি কথা বলতে আমি খুব ডিমান্ডিং ছিলাম এই সিরিজটাতে। সবার কাছ থেকে অনেক বেশি করে চাচ্ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সবাই যার যার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কেউ হয়তো সফল হবে কেউ হয়তো হবে না। কিন্তু সবার মনের ভেতরে ওই জিনিসটা ছিল দলের জেতার জন্য অন্তত অবদান রাখতে চায়। সব সময়ই সেটা চায় কিন্তু আলাদা রকম যে একটা আগ্রহ ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিল। ’
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারানোর পর দ্বিতীয়টিতে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়ানদের হোয়াটওয়াশের গৌরব অর্জন করলো র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫০৮ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে উইন্ডিজ শিবির। দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগেই দলটি গুটিয়ে যায় ২১৩ রানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম