২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যম ফেয়ারফ্যাক্সের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন সিডনির ড্রেসিং রুমে এক নারী ম্যাসেজ থেরাপিস্টের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন গেইল। পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এজ ও দ্য ক্যানবেরা টাইমস নিয়মিত প্রতিবেদন লেখে।
পরে এমন ঘটনায় বিব্রতবোধ করায় নিউসাউথওয়েলসের সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঠুকে দেন গেইল। ২০১৭ সালে মামলার শুনানিতে গেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সেই ম্যাসেজ থেরাপিস্ট লিনে রাসেল জানান, ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপ চলাকালে ড্রেসিং রুমে গেইল তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তার পরনের তোয়ালে খুলে গোপনাঙ্গ প্রর্দশন করেন।
তবে এমন ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন গেইল। আদালতে দুই ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে জুরি বোর্ড ফেয়ারফ্যাক্সের পক্ষে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি। ফলে মামলাটি জিতে যান ‘ইউনিভার্সাল বস’ খ্যাত এ তারকা।
সেবার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের গেইল বলেন, ‘আমি জ্যামাইকা থেকে এখানে নিজেকে সত্য প্রমাণ করতে এসেছি। আর দিন শেষে আমি খুবই, খুবই খুশি। আমি একজন ভালো মানুষ। আমার কোনো দোষ নেই। ’
পরে ফেয়ারফ্যাক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আপিল করবেন। সেই আপিলের রায় আজ দেওয়া হয়েছে। মানহানির মামলায় হেরে যাওয়ায় ফেয়ারফ্যাক্সকে তিন লাখ ডলার জরিমানা করা হয়, যা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন গেইল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস