ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আমিরাতের কাছে পাত্তাই পেলেন না মোসাদ্দেক-শান্তরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
আমিরাতের কাছে পাত্তাই পেলেন না মোসাদ্দেক-শান্তরা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচের একটি মুহূর্ত-ছবি: সংগৃহীত

কাগজে-কলমে সংযুক্ত আরব আমিরাত বেশ পিছিয়ে। কিন্তু মাঠের খেলায় নিজেদের মেলে না ধরতে পারার খেসারত দিয়ে তথাকথিত দুর্বল আমিরাতের কাছেই বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেট দল।

ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে আমিরাতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রপের ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা হলো ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হার দিয়ে।

আমিরাতের ২৬৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭০ রানেই গুটিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আমিরাতের দুই ওপেনার ১০২ রানের জুটি গড়ে তুলেন। ৭০ বলে ৪০ রান করে ওপেনার রোহান মোস্তফাকে নাজমুল হাসান শান্ত’র ক্যাচে পরিণত করে এই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু আমিরাতের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ আশফাক আহমেদ আগ্রাসী ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রাখেন। তাকে সঙ্গ দেন ঘুলাম শাব্বের। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।  

দলীয় ১৬০ রানে আশফাককে হারায় আমিরাত। ৯৩ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৯৮ রান করা আশফাককে ফেরান টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ। স্কোর বোর্ডে আর ১ রান তুলতেই পরবর্তী ব্যাটসম্যান রামিজ শাহজাদকে (১) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তানভির ইসলাম।  

৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করা শাব্বেরকে যখন শরিফুল ইসলাম বিদায় করেন ততক্ষণে দুইশ রান পেরিয়ে গেছে আমিরাত। পরবর্তীতে আমিরাতের শাইমান আনোয়ার (৩৪) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২৬৭ রানেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।

বল হাতে ৫৫ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম। ৩ উইকেট পেয়েছেন খালেদ আহমেদ। কিন্তু তিনি ১০ ওভারে রান খরচ করেছেন ৬৫। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, তানভির ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। বাংলাদেশ দলের হয় একমাত্র তানভির (৯ ওভারে ২৫ রান) ছাড়া আর সবাই রীতিমত রান বিলিয়েছেন।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগুতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস। এক ওপেনার মিজানুর রহমান (৪৩) ছাড়া আর কেউ বলার মতো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি। দলীয় ২৮ রানেই বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান (৩)। এরপর দলের রান ৪৬ হতেই বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাংলাদেশের ইনিংসের চূড়ান্ত বিপর্যয় ঘটে দলীয় ৭৯ রানে। একে একে বিদায় নেন মিজানুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন ও ইয়াসির আলী, তাও মাত্র ৬ বলের মধ্যে। স্কোর বোর্ডে আর মাত্র ১ রান যোগ হতেই বিদায় নেন নুরুল হাসানও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতনের ভিড়ে কিছুটা চেষ্টা চালান দুই টেল এন্ডার শফিউল ইসলাম (৩২) ও শরিফুল ইসলাম (৩১)। কিন্তু তাতে শুধু হারের ব্যবধান কমলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৩৭ ওভারে শেষে ১৭০ রানেই গুটিয়ে গিয়ে ৯৭ রানের বড় হার বরণ করে বাংলাদেশ।

আমিরাতের হয়ে ৪টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন দুই স্পিনার আহমেদ রেজা ও ইমরান হায়দার।  

অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলা হলেও টেস্ট দলগুলো ছাড়া সহযোগী দেশগুলোর হয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মোড়কে তাদের জাতীয় দলগুলোই খেলছে। আর টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোতে খেলছে চারজন করে জাতীয় দলের খেলোয়াড়।

বাংলাদেশের পরবর্তী খেলা হংকংয়ের বিপক্ষে আগামী শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর)।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।