যুদ্ধের শুরুতে আগুনের ফুলকিটা ল্যাঙ্গারই জ্বালিয়েছিলেন, সেটিতেই যেন ঘি ঢালার কাজ করলেন লক্ষণ। পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, কোহলি যা করেছে সেটি শুধুই উচ্ছ্বাস ও উদযাপন ছিলো।
ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘খেলায় এমন আবেগ তুমি পছন্দ কর, নাকি কর না? মনে রেখ, আমি মনে করি আমরা যদি এমনটা করতাম, তবে আমরা হতাম বিশ্বের সবচেয়ে বাজে উদাহারণ। এখানে ছোট্ট একটা পার্থক্য আছে, তাই না? এটাই হচ্ছে সত্য। তবে এমন আবেগ আমি ভালোবাসি, তবে ওই যে বললাম, এখানে ছোট্ট একটা পার্থক্য আছে, আছে না?’
ল্যাঙ্গারের এই কথাই যেন হজম হলো না লক্ষণের। জবাবে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপচারিতায় সাবেক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান কোচ ও অস্ট্রেলিয়া দল—ওরা ভুল কিছু ভাবছে। দেশের হয়ে যখন খেলবেন, তখন গর্ব ও আবেগ নিয়েই খেলা উচিত। দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে বা চমৎকৃত করতে খেলতে যাচ্ছেন না বা ভালো ছেলে সাজতে যাচ্ছেন না। আপনাকে কঠোর হয়েই খেলতে হবে। বিরাট ওভাবে উদ্যাপন করেছে—ঠিক আছে, কিন্তু ল্যাঙ্গারের উচিত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা নিয়ে কথা বলা। এটা শুধু উদ্যাপন নয়, এ দিয়ে তার আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করেছে। ’
শুধু এ পর্যন্তই থামেননি তিনি। কোহলিকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ানদের বল টেম্পারিং ঘটনাও টেনে আনেন। লক্ষণ বলেন, ‘কোহলি কোনো ভুল করেনি, কেপ টাউনের বল বিকৃতির সঙ্গে কোহলির উদ্যাপন মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। কেপ টাউনে যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি, তারা সীমা অতিক্রম করেছিল। সেটা ছিল বল টেম্পারিং। বিরাট তো স্লেজ করেনি, কিংবা কাউকে হয়রানি করার মতো ভাষাও ব্যবহার করেনি,ও এভাবেই উদ্যাপন করে। আমি যদি জাস্টিন ল্যাঙ্গার হতাম, তবে দলকে (অস্ট্রেলিয়া) বলতাম ওই উদ্যাপনের কথা ভুলে যাও কিংবা প্রতিপক্ষ কী করছে সেটাও। বরং তোমরা যতটুকু পার সেরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হওয়ার চেষ্টা কর। তোমারা যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রান করতে পার, সেটা তোমাদের শরীরী ভাষায় বোঝাও, তোমাদের ইতিবাচক আকাঙ্ক্ষায় সেটা প্রকাশ কর। এবং মাঠের বাইরে কী হচ্ছে সেটা ভুলে যাও। ’
বাংলাদেশ সময়ঃ ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এমকেএম