ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে মোসাদ্দেকরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে মোসাদ্দেকরা পরপর দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোসাদ্দেক-ছবি: সংগৃহীত

আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেট দল। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছেন মোসাদ্দেকরা। 

রোববার (৯ ডিসেম্বর) করাচীতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন, জাকির হোসেন, ইয়াসির আলীর ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশের তরুণ টাইগাররা।

জবাবে ৪৬.৫ ওভারে ২২৫ রান সংগ্রহ করতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

ম্যাচে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৮৫ রান করা মোসাদ্দেক বল হাতেও ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন।

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বোলারদের সামনে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। নিজেদের মাটিতে ২৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এরপর ৮৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের বোলারদের কিছুটা পরীক্ষায় ফেলেন পাকিস্তানের ওপেনার জিশান মালিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জিশানকে (৪৭) শরিফুলেরর ক্যাচে পরিণত করে বাংলাদেশ দলে স্বস্তি ফেরান আরেক শরিফুল ইসলাম।

জিশানের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের দলীয় ১১৯ রানে রিজোয়ানকে (৪৬) বোল্ড করে দেন মোসাদ্দেক। এরপর টানা উইকেট হারানোর মিছিলে একমাত্র খুশদিল শাহ (৬১) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২২৫ রানেই থেমে যায় পাকিস্তান।

বল হাতে বাংলাদেশের নাঈম ইসলাম ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৬ রান খরচে তুলে নেন পাকিস্তানের ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তানভির ইসলাম ও আফিফ হোসেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৮ রানে মিজানুর রহমানের (২৫) উইকেট হারালে নাজমুল ইসলাম শান্তকে (৪৯) নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন জাকির হোসেন। এর মাঝে নিজের ফিফটিও তুলে নেন জাকির। ৬৯ বলে ৮ চারে ঠিক ৬৯ রান করে মুহাম্মদ মুসার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে জাকিরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মোসাদ্দেক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।  

দলীয় ১৫১ রানে শান্ত (৪৯) আর ১৬১ রানে আফিফ (৬) বিদায় নিলেও মোসাদ্দেককে যোগ্য সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। এই দুজনের জুটিতে আসে ১২৬ রান। ৪৬ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৫৬ রান করে ইয়াসির বিদায় নেন। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। এই সময়ে ৭৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৮৫ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান।

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত মোসাদ্দেকের হাতেই উঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান নিয়ে ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে তরুণ টাইগাররা। ৩ ম্যাচের ২ জয়ে মোসাদ্দেকদের পয়েন্ট ৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান গড়ে এগিয়ে থাকায় শীর্ষ স্থানে থেকেই সেমিতে পা রেখেছে পাকিস্তানও।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।