প্রথমে ব্যাট করা সফরকারী উইন্ডিজ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানেই থেমে যায়। জবাবে ৩৫.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ের পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ১৯৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনজুরি ফেরত তামিম ইকবাল সুবিধে করতে পারেননি। ব্যক্তি ১২ রান করে তিনি রোস্ট চেজের বলে বিদায় নেন। পরের ওভারেই ওশানে থমাসের করা বলে সরাসরি বোল্ড হন ইমরুল কায়েস।
সেট ব্যাটসম্যান হয়েও কেমো পলের করা বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন লিটন দাশ। ৫৭ বলে ৫টি চারে ব্যক্তিগত ৪১ রানে বিদায় নেন এই ওপেনার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। তবে রোভম্যান পাওয়েলের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফেরেন সাকিব। ২৬ বলে ৪টি চারে নিজের স্কোর সাজান তিনি। উইকেটে এসে ১৩ বলে ২টি চার ও এক ছক্কায় ১৯ করলেও টিকতে পারেননি সৌম্য সরকার। চেজের বলে রোভম্যান পাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩১তম হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান মুশফিকুর রহিম। ৭০ বলে ৫টি চারে ৫৫ রান করেন তিনি। অন্যপাশে ১৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে নিজের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে কাইরান পাওয়েলকে ফিরিয়ে উইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত করেন সাকিব আল হাসান। ব্যাক্তিগত ১০ রানে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইন্ডিজ ওপেনার। উইকেটে সেট হতে থাকা ড্যারেন ব্রাভোকে দারুণ এক ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান তামিম ইকবাল। ২১তম ওভারের চতুর্থ বলে মাশরাফি বিন মর্তুজার করা বলে ব্রাভো তুলে মারলে উড়ে এসে ক্যাচ লুফে নেন তামিম। ৫১ বলে ১৯ রান করেন ব্রাভো।
অসাধারণ বোলিং করা মাশরাফি বিন মর্তুজার জোড়া আঘাতে টপঅর্ডারের দুই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রাভোর পর মাশরাফির বলে শাই হোপ প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৫৯ বলে ৪৩ করে মেহেদি হাসান মিরাজে তালুবন্দী হন হোপ।
ব্যক্তিগত ৮ ওভারের প্রথম বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে সিমরন হেটমায়ারকে বোল্ড করে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন তিনি। এদিন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে তৃতীয় উইকেট তুলে নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যক্তিগত ৮ম ওভারের প্রথম বলেই পান উইকেট। মাশরাফির বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল।
বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না পেসার রুবেল হোসেন। অবশেষে মারলন স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে পেলেন প্রথম উইকেট। নিজের ৮ম ওভারের চতুর্থ বলে ২৫ রানে ফেরান স্যামুয়েলসকে। বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো লিটন দাস অসাধারণ এক ক্যাচে ফেরান তাকে।
ক্যারিবীয় ইনিংসের ৪৭তম ওভারে উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে রোস্টন চেজকে মেহেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ৩৮ বলে ৩২ রান করে ফেরেন চেজ। পরে কেমো পল (৩৬, দ্বিতীয় সর্বেোচ্চ) ও দেবেন্দ্র বিশুকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান কাটার মাস্টার। মাশরাফি ও মোস্তাফিজ ৩টি করে উইকেট পান। এছাড়া মিরাজ, সাকিব ও রুবেল একটি করে উইকেট পান।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএমএস