স্টিভস রোডস শিষ্যরা বছরের প্রথম সিরিজি জয়ের সুবাস গায়ে মেখেছিলো গেল জুলাইয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে স্বাগতিকদের ২-১ ব্যবধানে হারের গ্লানি উপহার দিয়েছিলো।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার এই ম্যাচটি জিততে পারলেই কেল্লাফতে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) পড়ন্ত বিকলে স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশিও সেই আভাস দিয়ে রাখলেন। ‘আমার মনে হয় আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা থাকলে আর কিছুই লাগবে না। যে মানসিকতা ছেলেরা প্রথম ওয়ানডেতে দেখিয়েছে। ’
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি মাশরাফিও একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সিরিজ জিততে খুব বেশি প্রয়োজন নেই। প্রথম ম্যাচের এফোর্ট এখানে প্রয়োগ করতে পারলেই ব্যাস। ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের প্রস্তুতি ঠিকভাবে নিতে হবে। সবাইকে আবার প্রস্তুত হতে হবে। পরের ম্যাচটা যেন সেইরকম এফোর্ট দিয়ে আমরা খেলতে পারি। ’
বলার অপেক্ষাই রাখছে না শের ই বাংলার ডাবল পেস উইকেটে সফরকারীদের চাইতে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরাই এগিয়ে থাকবে। যেহেতু তারা উইকেটের ধরন ও কন্ডিশন সম্পর্কে সম্যক অবগত। যা হতে পারে মাশরাফিদের সিরিজ জয়ের অন্যতম নিয়ামক।
কিন্তু তাই বলে ক্যারিবিয়ানরাও যে চুপ করে বাংলাদেশের জয়োল্লাস দেখবে সেটা ভাবাও নেহায়াত বোকামিই হবে। বছরে টানা সিরিজ হারের বৃত্তে থেকে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটির এই কন্ডিশনে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য কতটা সেটা সবাই বোধ জানে। গতকাল মাশরাফিও সেই সম্ভাবনা কথা জানিয়ে রেখেছেন।
‘শতভাগ। ওরা ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট সামর্থ্য রাখে। এমনকি প্রথম ম্যাচে বল যেভাবে সেকেন্ড হাফে টার্ন করছিল, যেটা বলেছিলাম শিশির অতটা ছিল না। ওরা যদি ২৫০/৬০ করত তাহলে ডিফরেন্ট বল গেম হওয়ার চান্স বেশি ছিল। ওরা শতভাগ ক্যাপাবল। মেইক শিওর করতে হবে নেক্সট ম্যাচটাও এভাবে খেলতে পারি। ’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শেই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস