ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জয়ে শেষ করতে চাইছেন মাশরাফি

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
জয়ে শেষ করতে চাইছেন মাশরাফি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

সিলেট থেকে: ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টিম টাইগার যে আঁটঘাট বেঁধেই নামবে তার পূর্বাভাস মিললো ম্যাচের আগের দিনই। শুক্রবারের সিরিজ নির্ধারণী (১৪ ডিসেম্বর) ম্যাচটিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার কথাতে অন্তত তাই মনে হলো।

অধিনায়কের দুপুর ২টায় আসার কথা থাকলেও টিম মিটিং থাকায় এলেন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে। লম্বা সময় টিম মিটিং করেই তবে ফুরসৎ মিললো।

ধারণা করাই যায়, দলের কম্বিনেশন ও ম্যাচ কৌশল নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

টিম মিটিংয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে? সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কেরই ভাল জানার কথা। তবে তার ও টিম ম্যানেজমেন্টের অব্যক্ত সেই কথা সংবাদ মাধ্যম কর্মীদেরও বুঝতে বাকি রইলো না, যখন প্রথম প্রশ্নের জবাবেই মাশরাফি বললেন, বছরের শুরুর ধারাবাহিকতায় শেষটাও তারা জয়েই করতে চাইছেন এবং সেজন্য যা করণীয় তা সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে করে দেখাবেন।  

বলেন, ‘জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে বেশ ভাল হবে। প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলাম বছরের জয়ের যে হার তাতে জিততে পারলে খুব ভাল হবে। আর কালকেরটা (শুক্রবার) অবশ্যই উইনিং সাইডে করতে পারলে ভাল হবে। ’

নিশ্চয়ই ভাল হয়। তাহলে আরেকবার বছরে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সোনালি সাফল্য ঘরে তুলতে পারবে লাল-সবুজের দল। যা অতীতে ২০০৬ ও ২০১৫ সালে করে দেখিয়েছে। চলতি বছরে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। উঠেছে এশিয়া কাপের ফাইনালেও।

এই দুই টুর্নামেন্টের্ আগে ও পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়। তাই বছরের শেষে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আভাস পাওয়া গেলেও তা হয়নি। অপেক্ষা বেড়েছে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পর্যন্ত।

চলতি বছরে খেলা ১৮ ওয়ানডেতে ১২টিতেই জয় বাংলাদেশের। তাতে জয়ের হার দাঁড়িয়েছে ৬৬.৬৬ ভাগ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে জিততে পারলে এ হার দাঁড়াতো ৭০-এ। তাতে করে সফলতম বছরের তালিকায় শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিতে পারতো ২০১৮। তবে ১২ জয়ে ৬৬.৬৬ ভাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ তিনে ২০১৮ সাল।

২০০৯ সাল আছে এই তালিকার শীর্ষে। সে বছর ১৯ ম্যাচের ১৪ জয়ে শতকরা হার ছিল ৭৩.৬৮। আর ২০১৫ সালে ১৮ ম্যাচে ১৩ জয়ে ৭২.২২%। বছরে ৬০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের জয় রয়েছে ২০০৬ সালেও। ২৮ ম্যাচে ১৮ জয়ে সেবারের হার ৬৪.২৮%।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।