সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এ মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি ম্যাচ গড়িয়েছে। গেল ৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে হয় টেস্ট অভিষেক।
সে ভেন্যুতেই এবার অভিষেক হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ওয়ানডের। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচে এখানেই লড়বেন মাশরাফি ও তার দল। সিরিজ জয়ের এই মহারণে তাই অতীত হারের গ্লানি ভুলে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে শুরু করতে চাইছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
বলেন, ‘পেছনেরটা মনে করে কোনো লাভ নেই। কালকে (শুক্রবার) আমাদের নতুন ম্যাচ। নতুন কিছু। খুব ব্যাকফুটে আছি তাও না। ১-১ সমতায় আছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। এটা এমন না যে আমাদের সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিবাচক খেলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আপনি প্রত্যাশা করবেন ওরা বেস্ট ক্রিকেট খেলবে কালকে। আমাদেরকেও বেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। এ গ্রাউন্ডে আগে কি হেয়ছে সেটা ভেবে মাঠে নামলে আরও খারাপ হবে। ’
কিন্তু সিলেটের শুরুর এই ম্যাচেই মাশরাফির বিদায়ের বিষাদ সুর বাজতে শুরু করেছে। আলোচনায়, তথ্য ও ধারণা বলছে, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর মাশরাফি বিন মর্তুজাকে আর ক্রিকেটে দেখা যাবে না। অবশ্য মাশরাফি নিজ মুখে সেকথা একটিবারের জন্যও স্বীকার করেননি। তবে সেই শঙ্কা ঘণীভুত হয় তার রাজনীতির মাঠে নাম লেখানো দিয়ে। খেলার মাঠের পর রাজনীতির মাঠকে পরবর্তী গন্তব্য ধরায় অনেকে ধরেই নিচ্ছেন এই ম্যাচটিই দেশের মাটিতে মাশরাফির শেষ।
যদি সে কথাই সত্যি হয় তাহলে, ধরে নেওয়া যায় সৌন্দর্য্য ও মুগ্ধতার বিচারে দেশের অন্যতম সেরা মাঠটিতেই নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলতে যাচ্ছেন মাশরাফি।
দেশের অন্যান্য ভেন্যুগুলোর বিবেচনায় সিলেট যে সব চেয়ে সুন্দর ভেন্যু তা খোদ মাশরাফিও নিজে স্বীকার করলেন। বলেন, ‘অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয় এটা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম। সিলেট এমনিই সুন্দর। তার সাথে স্টেডিয়ামের জায়গা ও আশেপাশেও সুন্দর। তাই দৃশ্যটা যদি বলেন অন্যতম সেরা। ’
২০১৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নেতৃত্বভার নেওয়ার পর মাশরাফি এমন অনেক কিছুই পেরেছেন এবং করে দেখিয়েছেন যা অনেকেরই ভাবনারও অতীত ছিলো। সেই হিসেবে হয়তো বলাই যায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর থেকে সিলেট ভেন্যুতে এতদিন যা হয়নি তা শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) মাশরাফির হাত ধরেই হতে যাচ্ছে!
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম