তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানকে এই দায়িত্ব দেওয়া হলেও একাধিক প্রশ্ন ও অনেক আলোচলা চলে এসেছে সামনে।
ভারত-পাকিস্তান মানেই এক যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। হোক তা সীমানা বা খেলার মাঠ। তারই ধারাবাহিকতায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সকল সিরিজ বাতিল করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে আইসিসির আওতাধীন কোনো ম্যাচে এই দুদল মুখোমুখি হলে তা মেনে নিতে হবে।
এর আগে এশিয়া কাপের গত আসরের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। তবে সে সময়ে পাকিস্তান খেলতে না যাওয়ার হুমকি দিলে পরবর্তীতে তা সরিয়ে নেওয়া হয় নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজনের দায়িত্ব পাকিস্তান পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আপত্তি তুলেছে ভারত। তাছাড়া নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাকি দলগুলোও পাকিস্তানে খেলতে যেতে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ এর এশিয়া কাপও শেষ পর্যন্ত হয়তো সেই আরব আমিরাতেই আয়োজন হবে।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সভা শেষে পাকিস্তানকে এই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্প্রতি এসিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে এসিসির প্রথম সভা ছিল এটি।
এই সভায় এশিয়া কাপের পরবর্তী আসরের আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের নামটি ঘোষণা দিয়ে নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী এশিয়া কাপের আয়োজক হবে পাকিস্তান। স্বাগতিক স্বত্ত্ব তাদের হাতে। তবে কোথায় টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। গতবার যেমন ভারত সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল, পাকিস্তানও চাইলে তেমনটা করতে পারে। ’
এসিসির কার্যনির্বাহী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এসিসির সহ-সভাপতি কেএইচ ইমরান ও এহসান মানি (পিসিবি সভাপতি), ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব অমিতাভ চৌধুরী, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি কামাল পথমাসিরি এবং আফগানিস্তান ক্রিকেটের সভাপতি আজিজুল্লাহ ফজলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস