ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

টস ভাগ্যকে এগিয়ে রাখলেন মিরাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
টস ভাগ্যকে এগিয়ে রাখলেন মিরাজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মিরাজ-ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট থেকে: বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনাতেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় শিশিরের দাপট। রাত যত বাড়ে শিশিরের দাপটও বাড়ে। বাড়াবাড়ি এতটাই যে বল গ্রিপ দূরে থাক ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকাই দুস্কর। ক্রিকেটের ব্যাকরণ বলে সেখানে টসই তো চালকের ভুমিকায় থাকবে। যে দল টস জিতবে দিনের আলোয় কড়া রোদে কন্ডিশনের সুবিধা শতভাগ আদায় করে নিবে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও সেই চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। যেখানে টস জয়ই হয়ে উঠেছিল মুখ্য।

হয়তো ভাগ্যদেবীর প্রসন্ন দৃষ্টি বাংলাদেশের ওপর পড়েছিলো। বাঁচা মরার ম্যাচে তাই টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। স্পিন ট্র্যাকে ঘূর্ণি যাদু চালালেন মিরাজ, সাকিব।
 
ক্যারিবীয়দের ধ্বংসের মিশনে পরে সামিল হলেন সাইফউদ্দীন-মাশরাফি। ১৯৮ রানে গুটিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংস। ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ তুলে নিলো ৮ উইকেটের বড় জয়। আরেকবার বছরে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সোনালি সাফল্যে উদ্ভাসিত হলো লাল সবুজের দল।
 
দারুণ জয়টির পেছনে তাই টস ভাগ্যকেই এগিয়ে রাখলেন চার উইকেট পেয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের খেতাবজয়ী মেহেদি হাসান মিরাজ। ‘খুবই ভালো লাগছে। আমাদের টসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাশরাফি ভাই টসে জিতেছেন, ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল বলেই। টস জিতে আমরা ফিল্ডিং করেছি, উইকেটটাও ওরকমই ছিল। স্যাঁতস্যাঁতে ছিল যেখানে প্রথম দিকে স্পিনাররা সহায়তা পাবে। ’
 
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে নিয়মিত উইকেট শিকারে মিরাজের জুড়ি মেলা ভার। সেই মিরাজ এখন ওয়ানডে ফরম্যাটেও দারুণ ধারাবাহিক। যার শুরুটা হয়েছে চলতি বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে। সিরিজের তিন ম্যাচে ১টি করে উইকেট শিকারি মিরাজ সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ৬ ম্যাচ থেকে আদায় করেছেন ৪টি উইকেট।
 
অক্টোবরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। তিন ম্যাচ সিরিজের দুটি থেকে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে মাত্রই শেষ হওয়া সিরিজে তিন ম্যাচে তার উইকেট ৬টি।
 
তাহলে কী ওয়ানডেতে নিজেকে ক্রমাগতই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন লাল সবুজের এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার? সরাসরি বলেননি বটে। তবে বলেছেন, ‘যখন টেস্ট শুরু করলাম তখন থেকেই ভাবতে শুরু করেছি এখানে ভালো করে কি করে ওয়ানডেতে খেলা যায়। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে আমি নিয়মিত দলে খেলছি। ' 

'আমার কাছে যেটা মনে হয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো রান চেক বোলিংটা। আমি যদি রান চেক দিয়ে বোলিং করি, তাহলে অধিনায়ক আমার ‍ওপর আস্থা রাখবে। এটাই আমি চেষ্টা করছি। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।