মাত্র দুদিন আগেই (১৪ ডিসেম্বর) স্বাগতিকরা এই মাঠে রান তাড়া করে জয়ের দৃস্টান্ত স্থাপন করেছে। তাতে সিরিজ জয়ের সোনালি সাফল্য ধরা দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের কাছে।
প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে নান্নু বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাটিং করেছে একদমই পরিকল্পনা ছাড়া। গায়ের জোরে শটস খেললে তো আর হবে না। খেলতে হবে পরিকল্পানা মাফিক। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে এখানে আগে ব্যাটিং কেনো করলো বুঝলাম না। যেহেতু উইকেট মন্থর ছিলো না এবং এখানে আমরা শেষ ওয়ানডেতে রান তাড়া করে জিতেছি তাই শেষে ব্যাটিং করতে পারতো। তারপরেও এই দলের সঙ্গে যদি ১৬০ রান করা যায় তাহলে তো জেতা যাবে না। ’
বোলিংয়েও অবস্থাও ছিলো যাচ্ছেতাই মনে করিয়ে দিলেন সাবেক এই টাইগার দলপতি। বলেন, ‘ওরা আমাদের সব বিভাগেই উড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাট তো ভাল হয়ই নি, বোলিং ও ভাল হয়নি। ’
১৩০ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ক্যারিবিয়ানদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে টাইগাররা উড়ে গেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ১০.৫ ওভার ব্যাটিংয়েই তারা এই জয় পায়। সেটা অন্য কোন কারণে নয়, নির্বিষ বোলিংয়ের মোহড়ায়। উইন্ডিজদের সামগ্রিক সংগ্রহের ৯২ রানই এসেছে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডরি থেকে। যেখানে চারের চেয়ে ৬’র সংখ্যাই ছিলো বেশি। মোট ৮টি চারের পাশাপাশি ৬ এসেছে ১০টি।
বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বোলিং দীনতা কতটা প্রবল ছিলো। উইন্ডিজদের বিপক্ষে খেলা লাল সবুজের ৬ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম ইকোনমি রেট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২ ওভার বল করে তিনি দেন ১৩ রান। ইকোনমি রেট ৬.৫০। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সাকিব আল হাসানের। ৩.৫ ওভারে ৩২ রানে তার ইকোনমি রেট দাঁড়িয়েছে ৮.৩৪। সর্ববোচ্চ ইকোনমি রেট মেহেদি হাসান মিরাজের। তার ২ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৩৭ রান। মানে ওভার প্রতি ১৮.৫০ হারে রান দিয়েছেন এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।
১৫.০০ ইকোনমি রেট নিয়ে তারপরেই আছেন দুই পেসার; মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু হায়দার রনি। ১ ওভার বল করে দুজনই দিয়েছেন ১৫ রান। ১৩.০০ ইকোনমি রেটে তাদের পরে অবস্থান করছেন আরেক পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম