ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ৮ উইকেটে পূর্বাঞ্চলের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ৮ উইকেটে পূর্বাঞ্চলের বড় জয় নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং-ছবি: বাংলানিউজ (ফাইল ফটো)

নাঈম হাসানের স্পিন বিষে একেবারে নীল হয়ে ম্যাচ হেরে গেল মধ্যাঞ্চল। প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ৮ উইকেট শিকারে প্রতিপক্ষকে একদিন আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রানে অলআউট করে পূর্বাঞ্চল। ফলে ৩২১ রানের বড় জয়ে ষষ্ঠ রাউন্ড শেষ করে মুমিনুল হক ও তার দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তরুণ নাঈমের সামনে মধ্যাঞ্চলের কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

২০ ওভারে ৯টি মেডেনসহ মাত্র ৪৭ রানে ৮ উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি। এক ইনিংসে এর আগেও ক্যারিয়ারে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন তবে সেটি ছিল ১০৬ রানের বিনিময়ে।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অফ স্পিনারদের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এখন নাঈমের। ২০০৫ সালে বরিশালের বিপক্ষে ৬৭ রানে ৮ উইকেট নেওয়া খুলনার জামাল বাবুকে পেছনে ফেললেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরাও হন তিনি।

বাকি দুটি উইকেট শিকার করেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। তবে প্রথম ইনিংস ৬ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম কোনো উইকেট পাননি।

এর আগে দিনের শুরুতে দ্বিতীয় দিন বিনা উইকেট দুই রান করা পূর্বাঞ্চল ব্যাটিংয়ে নামে। তবে ইমরুল কায়েস ৮ ও রনি তালুকদার ২৪ রানে বিদায় নিলেও হাল ধরেন দলনেতা মুমিনুল ও ইয়াসির আলী।

প্রথম শ্রেণিতে ১৯তম সেঞ্চুরি করা মুমিনুল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০৬ বলে বরাবর ১০০ করে বিদায় নেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও একটি ছক্কায়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুলের সঙ্গে ১৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়া ইয়াসিরও ছিল আক্রমণাত্মক। ১০৯ বলে তিনি ১০টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০১ করে অপরাজিত থেকে তুলে নেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। মূলত তাদের ব্যাটিংয়েই বড় টার্গেট পায় পূর্বাঞ্চল।

এদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে হার এড়াতে লড়ছে উত্তরাঞ্চল। দলটির প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রানের জবাবে দক্ষিণাঞ্চল ৫৪১ রানের পাহাড় গড়ে। কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত আনামুল হক ১৮০ রানে সানজামুলের বলে বোল্ড হন।

জবাব দিতে নেমে ভালো অবস্থায় নেই উত্তরাঞ্চল। জুনায়েদ সিদ্দিকের ৭৭ ও নাইম ইসলামের ৬৭ স্বত্বেও তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করেছে তারা। এখনও ৬২ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।

দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মনির হোসেন, মেহেদি হাসান, আব্দুর রাজ্জাক ও নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।