ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ফাউল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ফাউল ড. জ্যাকস ফাউল/ছবি: সংগৃহীত

ড. জ্যাকস ফাউলকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। এর আগে অসদাচরণের অভিযোগে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বরখাস্ত হন থাবাং মোরে। ফাউল তার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

প্রধান নির্বাহী পদ অবশ্য নতুন নয় ফাউলের জন্য। এর আগে ২০১২ সালে জেরাল্ড মোজালা এবং হারুন লরগাতের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে এই দায়িত্ব সামলাছেন বর্তমানে সুপার স্পোর্ট পার্কভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টাইটান্সে একই দায়িত্বে থাকা ফাউল।

 

এদিকে বোর্ডের পরিচালক হিসেবে সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের নিয়োগ প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন সিএসএ’র প্রেসিডেন্ট ক্রিস নেনজানি। এর আগে গত মাসে এই পদের জন্য আবেদন করে সাক্ষাৎকারের মুখোমুখিও হয়েছিলেন স্মিথ। কিন্তু এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবেন কিনা এমন ভাবনা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তবে পরে আবার দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে চলমান সমস্যার মাঝেই শুক্রবার প্রধান নির্বাহীর বরখাস্তের ঘোষণা সামনে আসে। মোরে এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ক্রিস নেনজানিকে বরখাস্তের দাবি অবশ্য অনেকদিন থেকেই উঠছিল। তবে বরখাস্ত হলেও মোরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন তাকে বেতন-ভাতা দিতে বাধ্য থাকবে সিএসএ।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিএসএ’র বোর্ড চেয়ারপার্সন ইকবাল খান এবং স্বাধীন পরিচালক শার্লি জিন পদত্যাগ করেন। মোরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন জিন। পরে অবশ্য মোরেকে ক্ষমা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। তার স্থলে নতুন কাউকে নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিএসএ প্রেসিডেন্ট।

গত কয়েকদিন থেকেই সিএসএ ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড়, মিডিয়া এবং স্পন্সর নিয়ে বহুমুখী সঙ্কটে নিমজ্জিত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। ঘটনার সুত্রপাত গত রোববার এমজানজি সুপার লিগ চলাকালীন সময়ে পাঁচ সাংবাদিকের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের মাধ্যমে।  

তখন এই নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ জানানো না হলেও পরে দেশটির জাতীয় রেডিওকে মোরে জানান, সিএসএ’র সংবাদ প্রচারে ওই সাংবাদিকরা যে কাজ করেছেন তাতে অখুশি বোর্ড।  

এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয় ফোরাম, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন এবং টেস্ট ও ওয়ানডে দলের স্পন্সর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। দলের মূল স্পন্সর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল মেয়ার শেষ হওয়ার পর চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সিএসএ প্রায় ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতছাড়া করতে যাচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সঙ্গেও আইনি লড়াই চলছে সিএসএ’র। এর ফলেও প্রায় ৪৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারাতে পারে সিএসএ। এর আগে বোর্ডের ৬ জন স্টাফকেও বরখাস্ত করা হয়। শুধু কি তাই, সিএসএ’র বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগও তোলা হয়েছে।

বক্সিং ডে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট, তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।