অবশ্য ক্রিকেটারদের সম্মতি আদায় করলে চলবে না। কারণ প্রতিটি বিদেশ সফরের আগে সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক রুটিনের একটি অংশ।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের একজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ ইএসপিএন ক্রিকিনফো’কে নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তান সফরের জন্য তিনি সই করেছেন।
পূর্বে বিসিবি বলেছিল, বাংলাদেশ জাতীয় দল পাকিস্তানে কেবল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে এবং টেস্ট সিরিজ খেলার সম্ভাবনা নেই।
এক্ষেত্রে পিসিবিকে বিসিবি প্রস্তাব দিয়েছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট সিরিজ আয়োজনের। তবে সিরিজের একটি টেস্ট পাকিস্তানে এবং অন্যটি বাংলাদেশে খেলার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছে বিসিবি।
ক্রিকেটারদের সম্মতি চাইলেও পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানা যাবে ১২ জানুয়ারি, বিসিবি’র বোর্ড সভায়। যদি সফরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ‘হ্যাঁ-বোধক’ হয় তবে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে উড়াল দিতে পারে ১৮ জানুয়ারি, বিপিএল ফাইনালের পর।
এটা জানা গেছে, পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে বিসিবি চায় সফরটিকে দু’ভাগে ভাগ করে খেলতে। শ্রীলঙ্কা যেমন দুই ভাগে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলেছে, তেমনি বাংলাদেশও চায় একইভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানে খেলতে রাজি। তবে দেশটিতে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে টেস্টের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু চায় বিসিবি। আর সেটিই মানতে নারাজ পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস