মালিক ও হাফিজ ছাড়াও বাদ দেওয়া সাত খেলোয়াড়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং তিন নতুন মুখ- আহসান আলী, আমাদ বাট এবং হারিস রৌফ।
বাদ পড়া সাত ক্রিকেটার হচ্ছেন- ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আসিফ আলী, হারিস সোহেল, ইমাদ-উল-হক, মোহাম্মদ ইরফান এবং ওয়াহাব রিয়াজ।
দলের পরিবর্তন আনার ব্যাখ্যায় পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক এবং হেড কোচ মিসবাহ-উল-হক বলেন, ‘সর্বশেষ ৯টি টি-টোয়েন্টির ৮টিতেই হারের মুখ দেখেছি আমরা। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবে এমন পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া যায় না। এই হারের বৃত্ত থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে এবং আসন্ন এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের জয়ের ধারায় ফিরতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে এটাই বড় কারণ। ’
দলে মালিক ও হাফিজের অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব বোঝাতে মিসবাহ বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভিন্ন ভিন্ন কম্বিনেশন নিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। হাফিজ ও শোয়েব মিলে ২০০ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। যদি আমাদের দলের তরুণ তারকাদের সঙ্গে তাদের দুজনের অভিজ্ঞতার মিশ্রণ ঘটাতে পারি তাহলে সেটা ভালোই হবে বলে মনে হয়। ’
নতুনদের মধ্যে ২৬ বছর বয়সী আহসান অক্টোবরে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্ট কাপে ৫ ম্যাচে ১৩১ রান করেছেন। তার স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৫০। আর ২৬ বছর বয়সী রৌফ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের দল মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে খেলছেন এবং ১৬ উইকেট নিয়ে আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
আগামী ২৪, ২৫ এবং ২৭ জানুয়ারি লাহোরে গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এটা বাংলাদেশের দলের পাকিস্তানের সফরের প্রথম ধাপ।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
বাবর আজম (অধিনায়ক), আহসান আলী, আমাদ বাট, হারিস রৌফ, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মুসা খান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক এবং উসমান কাদির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএইচএম