২০২৩-২০৩১ সাল পর্যন্ত এই আট বছরে আইসিসির মোট ২৪টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আইসিসির এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেতে হলে সদস্য দেশগুলোকে বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে।
পাপন বলেন, ‘২০২৩-২০৩১ সাল পর্যন্ত যে ইভেন্টগুলো হবে তার মধ্যে আছে ছেলেদের ৮টি, মেয়েদের ৮টি ও অনূর্ধ্ব-১৯ এর ৮টি টুর্নামেন্ট। এই পর্যন্ত অ্যাওয়ার্ড করা হবে কোন পদ্ধতিতে? আগে যেটা হতো-ঘুরে ঘুরে, উপমহাদেশকেন্দ্রিক হতো, কখনো আবার সদস্যদের দ্বারা হতো, বোর্ডের সাথে কথা-বার্তা বলে হতো। এবার ওনারা যে পদ্ধতিটা করেছে সেটা হচ্ছে বিডিং। ফিফা এবং অলিম্পিক যেটা করে, তারা সাধারণত দেশ বিড করে। তাই ওরা এই পদ্ধতিতে যাচ্ছে, যে ক্রিকেটের জন্য দেশ বিড করবে। এবং এটা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা উন্মুক্ত। ইভেন্টগুলোর মধ্যে আছে সব বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সবকিছু। বাংলাদেশ তো অবশ্যই বিড করবে। ’
কিন্তু এখানেও কথা রয়েছে। টুর্নামেন্ট আয়োজনে শুধু বিডিং করলেই হবে না। আয়োজনের জন্য অয়োজক দেশগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও লাগবে। এই দিক দিয়ে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে বোর্ড সভাপতি মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘অন্য নতুন কোনো দেশ যদি বিড করতে চায় তবে তারা পারবে। কিন্তু তাদের ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট করতে অনেক টাকা লাগবে। ছেলেদের একটা বিশ্বকাপ করতে গেলে ৮টি স্টেডিয়াম লাগবে। অনেক দেশ আছে যাদের ৮টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নাই। আমাদের এবং বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সুবিধা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন করা লাগছে না। ’
তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা ছাড়বেন আইসিসির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
আরএআর/ইউবি