ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান পাচ্ছেন কামরান। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেট কায়েদে আজম ট্রফিতে ১১ ম্যাচে ৯০৬ রান করেও দলে ব্রাত্য থাকতে হচ্ছে তাকে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারবার দল থেকে বাদ পড়ার হতাশা প্রকাশ করে ৩৮ বছর বয়সী কামরান বলেন, ‘সবকিছুর একটা সীমা আছে। পাঁচ বছর হয়ে গেল। এটা বলা হয় যে, যারা ভালো করবে তাদের দলে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত। তাহলে কি আমাদের ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ভালো করে আসতে হবে? সব ফরম্যাটে আমার পারফরম্যান্স কে দেখভাল করবে? প্রধানমন্ত্রী?’
শুধু নিজেকে নিয়েই হতাশা প্রকাশ করে বসে থাকেননি কামরান, সঙ্গে যুক্ত করেছেন ফাওয়াদ আলমকেও। তার দাবি, নির্বাচকদের কাছে প্রতিভার কোনো মূল্য নেই। কামরান বলেন, ‘আমার এবং ফাওয়াদের মতো অনেক খেলোয়াড় আছে যারা দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। আমি পাকিস্তান দুপার লিগে পারফর্ম করেছি এবং ঘরোয়া ফরম্যাটেও আমি ভালো করে আসছি। ’
একই সাক্ষাৎকারে বর্তমান প্রধান নির্বাচক ও প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হককে তার নিজের জীবনের হতাশাজনক অধ্যায়ের কথাও মনে করিয়ে দেন কামরান। ২০০০- দশকের শুরুর দিকে দলে সুযোগ পেতে সাবেক অধিনায়ককেও দলে সুযোগ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল।
কামরান বলেন, ‘মিসবাহ নিজেও জানেন দলে সুযোগ পেতে তাকে কতটা কষ্ট করতে হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত প্রাপ্য সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। ফলে আমার ব্যাপারটা তার বুঝতে পারার কথা। এর আগে মিকি আর্থারের পক্ষপাতিত্বের কারণে জাতীয় দলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। ’
গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করে পাকিস্তান। সেই দল থেকে বাদ পড়ায় হতাশা প্রকাশ করে কামরান বলেছিলেন, এতে তিনি ‘কষ্ট পেয়েছেন এবং হৃদয় ভেঙে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়ল: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমএইচএম