এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২.৩ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮৮/৩।
পাকিস্তান ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম।
এরপর মোহাম্মদ হাফিজ আর অভিষিক্ত আহসান আলী মিলে ইনিংস মেরামত করছিলেন। তবে নিজের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে অভিজ্ঞ হাফিজকে বিদায় করে জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শর্ট এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো আমিনুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৭ রান।
হাফিজের বিদায়ের পর হাল ধরেছিলেন মালিক ও আহসান। তবে আহসানকে বেশি দূর যেতে দেননি আমিনুল।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
শুরুতে দেখেশুনে খেলতে গিয়ে ভালো সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমের ওপেনিং জুটিতে বড় রান এলেও পরে ওই স্লো ব্যাটিংয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেননি বাকিরা। ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছে সফরকারীরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে নতুন রেকর্ড গড়েন তামিম। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক এতদিন ছিলেন সাকিব আল হাসান। এখন সেই রেকর্ডের মালিক টাইগার ওপেনার তামিম।
৭৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১৫৬৭ রান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ব্যাট করার সময় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। এজন্য সাকিবের চেয়ে ৪ ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি।
নাঈমের সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে রান আউটের খাড়ায় পড়ে বিদায় নেন তামিম। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।
তামিমের বিদায়ের পর লিটন আর নাঈম মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এক রানের জায়গায় দুই রান নিতে গিয়ে বোলার ইমাদের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন লিটন। এক বল পরেই ৪১ বলে ৪৩ রান করা নাঈমও বিদায় নেন। ৩টি চার ও ২ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।
নাঈমের বিদায়ের পর কার্যত বাংলাদেশের রানের চাকা অনেকটা থমকে যায়। এর মধ্যে আফিফ হোসেন (৯) বোল্ড হয়ে পাকিস্তানি পেসার হারিস রৌফকে অভিষেক উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বল সৌম্য সরকারের (৭) লেগ স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয়।
শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ’র হালকা ঝড়ে মাঝারি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ১৪ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। আর মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
বল হাতে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হারিস রৌফ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএইচএম