বহু জল্পনাকল্পনার পর পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। তবে সফরটি ভাগ করা হয়েছে তিন ভাগে।
ধাপে ধাপে সফর নিয়ে এর আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শোয়েব আখতার দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সফর নিশ্চিতের জন্য এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। আর এখন এশিয়া কাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ মনে করেন, বিসিবি কোনো ‘অদৃশ্য’ চাপে পড়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশে (পাকিস্তান) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর জন্য পিসিবি যে চেষ্টা করছে তাতে তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমি সবাইকে বলব বাংলাদেশ নিয়ে বাজে কথা না বলতে। তারা এটা করেছে কোনো অদৃশ্য চাপের কারণে। আমি প্রকাশ্যে এই চাপ নিয়ে বলতে পারছি না। বিসিবিকে অনেক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে। ’
এদিকে এই সফরের জন্য বাংলাদেশের কাছে ২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজক সুযোগ হাতছাড়া করা নিয়ে শোয়েব আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশের সফরের জন্য এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ ছেড়ে দেওয়া আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে বহু গুঞ্জন শোনা গেছে। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশ যা চেয়েছে তাই হয়েছে। অন্যদের দাবি, পাকিস্তান সফরের বিনিময়ে এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার অধিকার আদায় করে নিয়েছে। গোপন চুক্তির ফলে পাকিস্তানের জায়গায় এখন বাংলাদেশেই আয়োজিত হবে এশিয়া কাপ। ’
শুধু শোয়েব আখতার নয়, এমন অভিযোগ তুলেছিল পাকিস্তানের অনেক সংবাদমাধ্যমও। এবার সেসব দাবির প্রেক্ষিতে পিসিবি’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার অধিকার বদলানোর সুযোগ নেই।
ওয়াসিম বলেন, ‘এটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিদ্ধান্ত। এটা পাল্টানোর ক্ষমতা পিসিবি কিংবা আইসিসির পক্ষেও সম্ভব নয়। আমরা এশিয়া কাপের জন্য দুটি ভেন্যু ঠিক করেছি। ’
এদিকে ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হয়, তখন কি হবে? এর জবাবে ওয়াসিম বলেন, ‘ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসতে না চায়, তাহলে আমরাও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে অস্বীকৃতি জানাবো। ’
ওয়াসিম খান আরও জানিয়েছেন, ২০২৩ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আইসিসি’র কমপক্ষে তিনটি ইভেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা করছে পিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএইচএম