ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টসে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে ইয়ন মরগানের দল।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করলেও মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ৫১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে ৮৪ রান ওঠতেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারায় ইংলিশরা।
ইংল্যান্ডকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায় জোন ডেনলির ব্যাট। ১০৩ বলে ৬ চার ও ২ ছ্ক্কায় ৮৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে ৪২ বলে ৪০ রান করে বিশ্বকাপজয়ীদের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন ক্রিস ওকস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাবরিজ শামসি।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৫ রানে ওপেনার রিজা হ্যান্ডরিক্স (৬) বিদায় নিলেও প্রোটিয়াদের রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। ইংলিশ বোলারদের হতাশ করে দুজনে ১৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। দলীয় ১৯৮ রানে জো রুটের বলে ডি কক আউট হওয়ার আগে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি। তার ১১৩ বলে ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ১ ছক্কায়।
ডি কক ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয়জন, যিনি অধিনায়ক-ওপেনার-উইকেটরক্ষক হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন। আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পার্থে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
সেঞ্চুরি উদযাপন করতে পারতেন বাভুমাও। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হোন তিনি। বাভুমার ১০৩ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ও ২ ছক্কায়।
ডি কক-বাভুমা বিদায় নিলেও জয় আটকায়নি প্রোটিয়াদের। রসি ফন ডার ডাসেনের ৩৮ ও জেজে স্মাটসের ৭ রানের সুবাদে নির্বিঘ্নে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডি কক। সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ০৭ ফেব্রুয়ারি, ডারবানে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ইউবি