বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিসিবি’র সংবাদ সম্মেলনে 'অধিনায়ক' মাশরাফির বিদায়ের ইঙ্গিত নিজেই দিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। এরপর পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাকিবের প্রসঙ্গ তোলা হলে পাপন বলেন, ‘ওয়ানডেতে (সাকিব) তো অবশ্যই।
কিন্তু সবধরনের ক্রিকেট থেকে আপাতত দুই বছর (এক বছর স্থগিত) নিষিদ্ধ সাকিবের ফিরবেন আরও ৮ মাস পর। কিন্তু মাশরাফির ‘বিদায়’ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ফের তার নাম আলোচনায় চলে এসেছে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের কথাই ভাবছেন। কিন্তু তার ফিরতে যে অনেক দেরি! এর মাঝে ওয়ানডে নেতৃত্ব কে দেবেন?
কিছুদিন আগে অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা জোর দিয়েই বলেছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। টাইগার কোচ ‘মাহমুদউল্লাহ আমার অধিনায়ক’ এমন কথাও বলেছিলেন। আপাতত টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে তাকেই দেখা যাচ্ছে। আবার টেস্ট দলের নেতৃত্বে আছেন মুমিনুল হক। দুজনই ভারপ্রাপ্ত। সাকিব ফেরার আগ পর্যন্ত এই দুই ভূমিকায় পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ওয়ানডে?
চলতি বছর টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকবে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর এপ্রিলে পাকিস্তানে একটি ওয়ানডে আর মে মাসে আয়ারল্যান্ডে তিনটি ওয়ানডে আছে। এই তিনটি ওয়ানডে আবার আইসিসি ওয়ানডে লিগের অংশ। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই চার ম্যাচের জন্য অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহকেই রাখার সম্ভাবনা বেশি। বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত টাইগাররা কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না খেলায় এই বিষয়টা নিয়ে আগে ভাবতেও হয়নি। কিন্তু এখন ভাবতেই হচ্ছে।
শুধু তাই না, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। অন্তত বাছাইপর্ব আর মূল আসরের কয়েকটা ম্যাচে তার না থাকা নিশ্চিত। তাছাড়া দীর্ঘ বিরতি শেষে সরাসরি মাঠে নামাও একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। সেক্ষেত্রে আসন্ন বিশ্বকাপেও মাহমুদউল্লাহকেই অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাপন। তাছাড়া আপাতত মাহমুদউল্লাহ ছাড়া আর বিকল্পও তো নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এমএইচএম