জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে সেখানে ছিল না তার ব্যাটিং বা দলের কৌশল নিয়ে কোনো কথা।
চাপেও অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে মুশফিক সরে আসেননি বলে জানা গেছে। প্রধান নির্বাচককে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি অনড়। তার মানে করাচিতে যাচ্ছেন না তিনি।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। একাদশে অবশ্য রাখা হয়েছে মুশফিককে। কিন্তু সমর্থকরা মনে করেন ম্যাচের আগে এমন প্রস্তাব দেওয়া উচিৎ হয়নি। আর বোর্ড ম্যানেজম্যান্টের এমন সিদ্ধান্ত ভাবিয়ে তুলেছে ক্রীড়ামোদিদের। তবে আসলেই কি মুশফিককে চাপে রাখতে খেলার আগে এমন সিদ্ধান্ত।
এর আগে মুশফিকের পাকিস্তান সফর নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছেও প্রশ্ন ছিল সিলেটে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। তিনিও বলেছিলেন, এ নিয়ে বোর্ড প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলবে।
অধিনায়কের মুখে শোনা খেলোয়াড়দের সম্মান জানিয়ে বিসিবির যে সুর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সেই সুরের ভিন্নতা ফুটে উঠেছে।
এর আগে মিরপুর টেস্টে মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হওয়ার পরপরই বিসিবি সভাপতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মুশফিকের পাকিস্তান যাওয়া উচিৎ। মুশফিকের পরিবার সত্যিই শঙ্কিত, এটি তিনি বিশ্বাস করেন না বলেও জানান। আর চাপ প্রয়োগের সেই ধারাবাহিকতায় এবার এলো দল থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি।
পাকিস্তান সফরে করাচিতে আগামী ৩ এপ্রিল হবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি। আর ৫ এপ্রিল থেকে টেস্ট খেলার কথা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘন্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এনইউ/এমএমএস