২০০৯ সালের আগস্টে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। যা ছিল ব্যক্তিগত ও বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে একই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন তামিম। কার্ল মাম্বার করা ইনিংসের ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। এখন পযর্ন্ত ১৩৫ বলে ২০ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫৮ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
এর আগে নিজের ৪৮তম ফিফটিকে ১২তম সেঞ্চুরিতে নিয়ে যান তামিম। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামসের করা ইনিংসের ৩৬তম ওভারের শেষ বলে ২ রান নিয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন তিনি।
এই নিয়ে প্রায় ২ বছর ও ২৩ ইনিংস পর ব্যক্তিগত তিন অঙ্কের ঘরে পা দিলেন তামিম। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এছাড়া প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে এই কীর্তি গড়েন টাইগার ওপেনার।
৬৯১৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তামিম। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ৫০ ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি। সেই ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে ৭ হাজার রানের মাইলফলকের চূড়ায় ওঠেন ৩০ বছর বয়সী বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। বর্তমানে তার রান ৭০৭৪।
ওয়ানডে তামিমের ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লেখাতে খেলতে হয়েছে ২০৬ ম্যাচ ও ২০৪ ইনিংস। তার গড় ৩৫.৮৭। সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৪।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রান সংগ্রহের তালিকায় তামিমের পরে আছেন দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞায় (এক বছর স্থগিত) থাকা সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার ২০৬ ম্যাচ ও ১৯৪ ইনিংসে ৩৭.৮৬ গড়ে করেছেন ৬৩২৩ রান। সাকিবের ৯ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৪৭ ফিফটি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩ হাজার রানের চূড়া স্পর্শ করেন তামিম। অবশ্য এই কীর্তি তিনি আগেই গড়েছিলেন। তবে তার আগের ১৩০১৪ রানের মধ্যে আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়ে ছিল ৫৭ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
ইউবি