আগের ম্যাচে ফ্লপ হলেও এবার তামিমকে নিয়ে গ্যালারিতে গলা ফাটাচ্ছিলেন দর্শকরা। কেবল ‘তামিম…তামিম’ শব্দ ধ্বনিতে মুখর ছিল চারদিক।
যখন নিজের রেকর্ড ডিঙিয়ে যান তামিম তখন দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আরেকটু বেশি। তামিম ২০০ রান করুক, এমন প্রত্যাশা ছিল সকলের।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও মিডিয়া ব্যবস্থাপক ফরহাদ কোরেশী বলেন, ‘আমিও চেয়েছিলাম তামিম অন্তত ২০০ রান করুক। কিন্তু এ যাত্রায় পূরণ হলো না, তবে আশাবাদি, একদিন হয়তো তার ব্যাট থেকে এই রান আসবে। কেবল তামিম নয়, বাংলাদেশ দলের যেকোনো খেলোয়াড়ের ব্যাট থেকে এই রান আসা খুশির-আনন্দের। ’
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) তামিমকে নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল। রান খরায় ভোগা তামিম অবশেষে নিজের জাত চেনালেন স্বরূপে ফিরে।
গত রোববার (০১ মার্চ) প্রথম ম্যাচে লিটনের উড়ন্ত সূচনায় তামিমের ব্যাটে ছিল মন্তর গতি। বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচটি নিজেদের করে নিলেও সমালোচনামুখর ছিলেন তামিম। আর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রমাণ করে দিলেন তিনিই বাংলাদেশের ভরসার স্তম্ভ। তিনি চাইলেই যে ব্যাট হাতে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন আবার।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন তামিম ও পাকিস্তান সফর নিয়ে ম্যানেজম্যান্টের চাপের মুখে থাকা মুশফিক। তামিমের ছান্দসিক ইনিংসে বেশ সঙ্গ দিয়ে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিক অর্ধশত হাকিয়েছেন ৩ উইকেটে দলীয় ১৫২ রানের সময়
আর তামিম ক্রিজে থেকে নিন্দুকের সব সমালোচনার জবাব যেন ব্যাট হাতেই দিলেন। ১৩৬ বল খেলে তামিম করেন ১৫৮ রান। ক্যারিয়ারে তার সেরা এই ঝলমলে ইনিংস সাজাতে দর্শনীয় ছিল ২০টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
সর্বশেষ ৫০ ওভারে বাংলাদেশ দল ৮ ইউকেটে ৩২২ রান করে জিম্বাবুয়েকে পাহাড়সম ৩২৩ রানের টার্গেট দেয়। আর এই অসাধ্য রান পাহাড় গড়ে তুলতে অনবদ্য ভূমিকা তামিমের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘন্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এনইউ/ইউবি