রোববার (মার্চ ১৫) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান করে আবাহনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রানে অলআউট হয় পারটেক্স।
২৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পারটেক্স। আর আবাহনীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধীর গতিতে রান তুলতে থাকে পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা। ফলে রান রেটের চাপটা বাড়তে থাকে পারটেক্সের।
শেষ পর্যন্ত ৪৮.৪ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। তাসামুল হক সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। এছাড়া ধীমান ঘোষের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। আবাহনীর মেহেদি হাসান রানা ৩টি, তাইজুল ২টি এবং সাইফউদ্দিন, সৈকত, আরাফাত সানি ও বিপ্লব ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫), আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (১৪) ও আফিফ হোসেন (৩) ব্যর্থ হলে ৬৭ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে আবাহনী।
মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ষষ্ঠ উইকেটে আবাহনীকে চাপমুক্ত করেন। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। এটি মুশফিকের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। অন্য দিকে অর্ধ-শতক তুলে নেন মোসাদ্দেক। মুশফিক ১২৭ রান করে দলীয় ২২৭ রানের মাথায় আউট হলে ভাঙ্গে ১৬০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ১১টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল মুশফিকের ইনিংস।
মোসাদ্দেক ৬১ রান করে আউট হন। দলের রান তখন ৭ উইকেটে ২৩২ রান। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আবাহনীর স্কোর তিনশ রানের কাছাকাছি পৌঁছায়। সাইফউদ্দিন ৫টি ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেললে ৫০ ওভারে আবাহনীর সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ২৮৯ রান। অষ্টম উইকেটে ৫৭ রানে জুটি গড়েন সাইফউদ্দিন ও তাইজুল ইসলাম।
পারটেক্সেরে জয়নুল ইসলাম ৩টি, তাসামুল ২টি এবং রনি হোসাইন ও শাহবাজ চৌহান ১টি করে উইকেটে নেন।
দারুণ সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে মুশফিকের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
আরএআর/এমএমএস