বুধবার (মার্চ ২৫) এ নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। নিচে তাদের স্ট্যাটাস গুলো পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।
তামিম ইকবাল
করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্বই আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও প্রকোপ বেড়ে চলেছে। আমরা ক্রিকেটাররাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে চেষ্টা করছি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করার। তবে আমরা মনে করছি, শুধু সচেতন করাই যথেষ্ট নয়, এই দুর্যোগের সময় আমাদের আরও কিছু করার আছে।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যে ১৭ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবং জিম্বাবুয়ে।
সিরিজসহ সম্প্রতি জাতীয় দলে খেলেছে, এমন আরও ১০ জন, সব মিলিয়ে ২৭ ক্রিকেটার এক মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে আমরা সহায়তা করছি। কর কেটে রাখার পর মোট থাকবে ২৫ লাখ টাকার কিছু বেশি।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই যতটা ব্যাপক, এই অর্থ হয়তো খুব বড় অঙ্ক নয়। তবে বিন্দু বিন্দু জল মিলেই হয়ে ওঠে মহাসাগর। আমরা সবাই যদি নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করি, যত ছোট অবদানই হোক, সবাই মিলে সেটিই বড় হয়ে উঠবে। চারপাশের সবার সমালোচনায় মেতে না থেকে আমরা যদি নিজেরা দায়িত্ব নেই ও নিজেদের সাধ্যমতো অবদান রাখি, তাহলেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমাদের জয় সম্ভব।
সবাই ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। নিজে ভালো থাকুন, দেশকে ভালো রাখুন।
মুশফিকুর রহিম
আসসালামুআলাইকুম। আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে।
সেটির অংশ হিসেবে আমরা ক্রিকেটাররা একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যেটি হয়তো অনুপ্রাণিত করতে পারে আপনাদেরও। আমরা এই মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করেছি। এই তহবিল ব্যয় হবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সাধারণ মানুষ যাদের গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়।
তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। কর কেটে থাকবে ২৬ লাখ টাকা। করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এই উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যদি এক সঙ্গে এগিয়ে আসেন কিংবা ১০জনও যদিও এগিয়ে আসেন, এই লড়াইয়ে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। হ্যাঁ, এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় অনেকে এগিয়ে এসেছেন। তাদের অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে যদি আরও অনেকে এগিয়ে আসে, তাহলে আমরা এই লড়াইয়ে জিততে পারব ইনশাআল্লাহ। সেই সহায়তা হতে পারে ১০০, ৫০০০ কিংবা ১ লাখ টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে না হোক হতে পারে দুস্থ মানুষকে খাবার কিনে দিয়ে। আসুন পুরো দেশকে আমরা একটা পরিবার ভেবে চিন্তা করি এবং এই বিপদে সবাই সবাইকে সহায়তা করি। আল্লাহ আমাদের নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন। ইনশাআল্লাহ।
লিটন দাস
সবাইকে আদাব ও সালাম,
আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে।
সেটির অংশ হিসেবে আমরা ক্রিকেটাররা একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যেটি হয়তো অনুপ্রাণিত করতে পারে আপনাদেরও। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থাকা ও গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আমরা মোট ২৭ ক্রিকেটার এক মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করেছি। এই তহবিল ব্যয় হবে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সাধারণ মানুষ, যাদের গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়।
আমাদের তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। কর কেটে থাকবে ২৬ লাখ টাকা। করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এই উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যদি এক সঙ্গে এগিয়ে আসেন কিংবা ১০জনও যদিও এগিয়ে আসেন, এই লড়াইয়ে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। হ্যাঁ, এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় অনেকে এগিয়ে এসেছেন। তাদের অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে যদি আরও অনেকে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরা এই লড়াইয়ে জিততে পারব । সেই সহায়তা হতে পারে ১০০, ৫০০০ কিংবা ১ লাখ টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে না হোক, হতে পারে দুস্থ মানুষকে খাবার কিনে দিয়ে। আসুন পুরো দেশকে আমরা একটা পরিবার ভেবে চিন্তা করি এবং এই বিপদে সবাই সবাইকে সহায়তা করি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন। সবাই ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়মগুলো মানুন। কঠিন এই পরস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠবই একসময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
আরএআর/এমএমএস