ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

শোয়েব আখতারের স্পেলকে সবচেয়ে দ্রুতগতির বললেন পন্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
শোয়েব আখতারের স্পেলকে সবচেয়ে দ্রুতগতির বললেন পন্টিং

করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। তবে এসময় নিজের গৃহবন্দী ভক্তদের ব্যস্ত রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। প্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যারিয়ারের কোনো মুহূর্ত তুলে ধরে নস্টালজিক হয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি পাকিস্তান কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের  একটি স্পেলের ভিডিও পোস্ট করেছেন।

টুইটারে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-এর সেই ভয়ংকর গতির স্পেল পোস্ট করেন পন্টিং। শোয়েবের সেই ওভারের প্রতিটি বলই ছিল আগুনে গতির।

প্রথম ডেলিভারিটাই মারাত্মক গতিতে পন্টিংয়ের দিকে ধেয়ে আসে। তিনি সেই বলের লাইন থেকে কোনো রকমে নিজেকে সরিয়ে নেন। পরে শোয়েব এগিয়ে এসে পন্টিং-এর দিকে হাত না়ড়ান। সেই ওভারেই শোয়েব ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বল করেন। অফ স্টাম্পের বাইরের সেই বল ছেড়ে দেন পন্টিং। পরের বলটাই ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসে পন্টিংয়ের দিকে।

টুইটারের সেই পোস্টের ক্যাপশনে পন্টিং লিখেন, ‘ফ্লিনটফের ওভারকে আমার মোকাবিলা করা সেরা ওভার বলার পর অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে এবার শোয়েব আখতারের ১০০ কিলোমিটার গতির বল যা আমার আমার খেলা সব থেকে দ্রুত গতির স্পেল। বিশ্বাস করুন জাস্টিন (ল্যাঙ্গার) অনেক দূরে ছিল সরে ছিল। '

এখানে পন্টিং কিছুটা মজা করেছেন বর্তমান অজি দলের হেড কোচ ল্যাঙ্গারের সঙ্গে। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন শোয়েবের ঝড়ো বোলিং মোকাবিলা করতে চাননি জাস্টিন।

শোয়েব আখতার আবার রিকি পন্টিংয়ের টুইটের জবাবে দেন। তিনি লেখেন, ‘একমাত্র রিকি পন্টিংই এভাবে খেলতে পারে। সে খুব সাহসী। আর জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্যই নন-স্ট্রাইকার এন্ডেই তাকতে চাইবে। '

এর আগে এ মাসের শুরুতে পন্টিং একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন ২০০৫-এর অ্যাশেজের। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি ইংলিশ সাবেক তারকা অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের বল মোকাবিলা করছেন। তিনি সেই ভিডিওতেই লিখেছিলেন সেরা যা তিনি খেলেছেন। ফ্লিনটফের সেই ওভারে রিকি পন্টিংকে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে দেখা যায় এবং তার বলেই আউট হন।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে রিকি পন্টিং ছিলেন সেরা অধিনায়কদের একজন। তার নেতৃত্বে ২০০৩ ও ২০০৭-এ বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ২০১২তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। এর আগে তিনি দেশের হয়ে ১৬৮টি টেস্ট, ৩৭৫টি ওডিআই ও ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেন ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।