তবে করোনাকালে স্টেডিয়ামে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটাররা যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্য ড্রেসিংরুম ব্যবহার আপতত বন্ধ কিংবা কম ব্যবহার করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) এক সংবাদমাধ্যমে একথা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি মনে করেন ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম হতে পারে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম। তাই অনাবাসিক ক্যাম্পের জন্য ড্রেসিংরুম কম ব্যবহার করাই ভালো।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন অনুশীলন শুরু করব চাইব যেন ড্রেসিংরুম ব্যবহার না হয়। কেননা ড্রেসিংরুম জীবাণু ছড়ানোর একটা ভালো জায়গা। চেষ্টা করব ড্রেসিংরুম বন্ধ রাখতে। বাসা থেকে প্রস্তুত হয়ে অনুশীলন সেরে ক্রিকেটাররা সরাসরি বাসায় চলে যাবে। নির্দেশনা দেওয়া হবে কোনো কিছুই যেন ব্যবহার করতে না হয়। না পারলে টয়লেটও না। তবে জরুরি প্রয়োজনের জন্য আমরা টয়লেট প্রস্তুত রাখব। এগুলো যত কম ব্যবহার করবে তত নিরাপদ থাকবে। ’
তবে স্টেডিয়ামে আইসোলেশন ব্যবস্থা থাকা দরকার বলে মনে করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। অনুশীলনের মাঝে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে সেই আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘অনুশীলন ভেন্যুতে আমাদের আইসোলেশন সেন্টার রাখতে হবে। ধরেন মাঠের মধ্যে কেউ অসুস্থ অনুভব করলো, তখন কি করব? আমাদের একাডেমিতে কিছু রুম আছে, দুই তিনটা রুম হয়ত প্রস্তুত করে রাখব যাতে করে তারা ওখানে বিশ্রাম নিতে পারে। আমরা চাইব এসব অবকাঠামো যত কম ব্যবহার করা যায়। শুধু অনুশীলন করে যেন ওরা বাসায় চলে যায়। আমরা হয়তো ওখানে দুটি ওয়াশরুম প্রস্তুত রাখব। কিন্তু আমরা চাইব ওরা যেন বাসা থেকে ওইভাবে প্রস্তুত হয়ে আসে যেন ব্যবহার করতে না হয়। ড্রেসিংরুমের ব্যাপারেও একই নির্দেশনা থাকবে, কিন্তু কম ব্যবহার করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
আরএআর/এমএমএস