সবধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ক্যামেরন হোয়াইট। তিনদিন আগেই ৩৭-এ পা দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডারকে জাতীয় দলের হয়ে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে সর্বশেষ খেলতে দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৪টি টেস্ট খেলেছেন ক্যামেরন হোয়াইট, সবগুলোই ২০০৮ সালে ভারত সফরে। এছাড়া ৯১টি ওয়ানডে ও ৪৭টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। ৭ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বেও দেখা গেছে তাকে।
টেস্ট ক্রিকেটে অজিদের জার্সিতে হোয়াইটের সংগ্রহ ১৪৬ রান, ওয়ানডেতে ২০৭২ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ৯৮৪ রান। তিন ফরম্যাটে যথাক্রমে ৫, ১২ ও ১টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং বর্তমানে অবলুপ্ত ডেকান চার্জার্সের হয়ে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন হোয়াইট। পরে ২০১৩ সালে তাকে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২০১৮ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ খেলার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু সেবার ওয়ানডেতে সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য বাদ পড়ার পর আর ফেরা হয়নি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে হোয়াইট বেশ সফল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজারের বেশি রান আছে তার ঝুলিতে। বল হাতে ১৯৫ উইকেটও আছে তার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলে তিনি ৭ হাজার ৭০০ রান করেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১০টি শিরোপা জিতেছেন হোয়াইট। এগুলো হলো- ৬টি শেফিল্ড শিল্ডস, ঘরোয়া ওয়ানডে শিরোপা, রাজ্যভিত্তিক ২টি টি-টোয়েন্টি লিগের শিরোপা এবং বিগ ব্যাশের ১টি শিরোপা। ২৪০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি ৫ হাজার ৪৬৯ রান করার পাশাপাশি ২৭.২৩ গড়ে ৭০৮টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
হোয়াইটের সাম্প্রতিক ফর্ম ছিল একেবারেই তলানিতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল তার। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়নি তার। পরিস্থিতি অনুধাবন করে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
হোয়াইটের মূল লক্ষ্য এখন কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার দিকে। এরইমধ্যে ভিক্টোরিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। গত বছর স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলার পাশাপাশি এই ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
এমএইচএম