ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিফলে মরগ্যান-ত্রিপাঠির লড়াই, দিল্লির কাছে হারল কলকাতা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২০
বিফলে মরগ্যান-ত্রিপাঠির লড়াই, দিল্লির কাছে হারল কলকাতা ছবি: সংগৃহীত

২২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান। সবাই ধরেই নিয়েছিল, বিশাল ব্যবধানে হারবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

কিন্তু সেখান থেকেই পাল্টা আক্রমণে কলকাতার সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার করেন ইয়ন মরগ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

শনিবার (৪ অক্টোবর) আবুধাবিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২২৮ রান করে দিল্লি। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা। ফলে ১৮ রানে জিতে যায় দিল্লি। এই জয়ে শ্রেয়াসবাহিনী আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই সুনীল নারায়ণের উইকেট হারায় কলকাতা। এই ক্যারিবীয় স্পিন অলরাউন্ডার যে আর আগের মতো পিঞ্চ হিটার নেই, তা এই আসরে বেশ স্পষ্টভাবেই ধরা পড়েছে। শুভমান গিল ও নিতিশ রানা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৪ রান তুলে ধাক্কা কিছুটা সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দ্রে রাসেল (১২) ও অধিনায়ক দীনেশ কার্ত্তিক (৬) দুজনেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ।  

৩৫ বলে ৫৮ রান করে নিতিশ বিদায় নেওয়ার পরের বলেই বিদায় নেন কার্ত্তিক। প্যাট কামিন্সও (৫) দ্রুত বিদায় নিলে প্রমাদ গুনতে থাকে কলকাতা। তবে ঠিক সেখান থেকেই মরগ্যান ও ত্রিপাঠির লড়াই শুরু। ক্রিজে নেমেও অনেকটা সময় নন-স্ট্রাইকে থাকা মরগ্যান স্ট্রাইক পেয়েই ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন।  

মরগ্যান ও ত্রিপাঠি মিলে যোগ করেন ৭৮ রান। তার ঝড়ে ১৬তম ওভারে আসে ১৪ রান, ১৭তম ওভারে ২৪ এবং ১৮তম ওভারে ২৩। ম্যাচ তখন কলকাতার দিকেই হেলে পড়েছে। কিন্তু মাত্র ১৮ বলে ৫ ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মরগ্যান বিদায় নেওয়ার পর দিল্লি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে দিল্লি। শেষ ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ২৬ রান। কিন্তু প্রথম বলেই চার হাঁকানোর পর রণে ভঙ্গ দেন ত্রিপাঠিও (১৬ বলে ৩৬ রান)।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে দিল্লি। দলটির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো তার স্ট্রাইক রেট। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট প্রায় ২৩২!

দিল্লির বিশাল সংগ্রহে শ্রেয়াস ছাড়াও বড় ভূমিকা রেখেছেন পৃথ্বী শ এবং ঋষভ পান্ত। এর মধ্যে শ ৪১ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬৬ রান করেছেন। পান্ত ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মাত্র ১৭ বলে। এছাড়া ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস।  

বল হাতে দিল্লির অ্যানরিচ নর্টজে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এই প্রোটিয়া পেসারের শিকার হয়েছেন মরগ্যান, কামিন্স ও ত্রিপাঠি।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।