বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, আবারও তার প্রমাণ দিলেন ৪১ বছর বয়সী ক্রিস গেইল। স্কোয়াডে থাকলেও এতোদিন মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছিলেন না জ্যামাইকান ব্যাটসম্যান।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গেইল সুযোগ পেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। এখনও যে তার ব্যাটে জং ধরেনি তা জানাতে ভুল করলেন না ‘ইউনিভার্স বস’। তার ঝড়ো ফিফটিতে দাপুটে জয় পেয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
চলতি আইপিএলে অষ্টম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার মালিকাধীন দলটি। কোহলিদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব।
ব্যাঙ্গালুরুর দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে ১৭৭ রান করে লোকেশ রাহুলের দল। এর আগে ৬ উইকেটে ১৭১ রান করে ব্যাঙ্গালুরু।
অধিনায়ক কোহলি ৩৯ বলে ৪৮ করলেও দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন পাঞ্জাবের বোলারদের সামনে। দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (২০) ও দেবদুত পাডিক্কাল (১৮) শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দর (১৩), শিভম দুভে (২৩), এবি ডি ভিলিয়ার্স (২) স্কোরবোর্ডে তেমন অবদান রাখতে পারেননি। শেষদিকে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস মরিসের ৮ বলে ২৫ এবং উদানার ৫ বলে ১০ রানের সুবাদের লড়াকু পুঁজি পায় ব্যাঙ্গালুরু।
কিন্তু তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা রাহুল-গেইলদের সামনে দাঁড়ায় মামুলি স্কোর হয়ে। ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান পায় পাঞ্জাব। ২৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফেরেন চাহালের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর ক্রিস গেইল যখন রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন ততক্ষণে দু’দলের স্কোর সমান। ক্যারিবিয়ান ঝড় ৪৫ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৫৩ রান। রাহুল ৪৯ বলে ৬১ রান করে নিকোলাস পুরানের (১০) সঙ্গে মাঠ ছাড়েন জয় নিয়ে।
পাঞ্জাবকে জয়ে এনে দেওয়ার পাশাপাশি একটি মাইলফলকেরও চূড়ায়ও ওঠেছেন গেইল। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কেবল চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ১০ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। এর আগে ক্রিকেটের এই সীমিত ওভারে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গেইল তার ক্যারিয়ারে মোট ১৩ হাজার ৩৪৯ রানের মধ্যে শুধু চার-ছক্কাতেই করেছেন ১০ হাজার ৬ রান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোরব ১৬, ২০২০
ইউবি