জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে এখন।
মুক্ত সাকিব। তবে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। যেমন জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংযের প্রস্তাব তিনবার গোপন করেছেন তিনি। তাই তিনবার একই ভুল করার পর সতীর্থের কাছে তার আস্থা আর বিশ্বাসের জায়গাটা আগের মতো থাকবে কিনা? সাকিব আল হাসান মনে করেন, তার প্রতি সতীর্থদের বিশ্বাস ও আস্থা আগের মতো থাকবে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভক্ত ও সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এসময় তিনি সব কিছুর খোলামেলা উত্তর দেন। সাধারণত ফিক্সিং ইস্যু থেকে কেউ ফিরে এলে তার প্রতি সতীর্থদের একটা নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়। আর যদি কেউ নেতিবাচক ধারনা করেও থাকে, তবে তা স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করেন সাকিব। সেক্ষেত্রে তিনি মনে করেন, এমন কোনো কিছু ঘটবে না।
সাকিব বলেন, 'আসলে কার মনের ভেতর কী আছে, বলা মুশকিল। সন্দেহ হতেই পারে, অবিশ্বাস তৈরি হতেই পারে। সেটা কখনোই অস্বীকার করি না। তবে যেহেতু এর ভেতরও আমার সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, কথা হয়েছে, আমি কখনও ওভাবে ফিল করিনি বিষয়টা। আশা করি, এই জায়গাটিতে সেভাবে সমস্যা হবে না। তারা যেভাবে আমাকে বিশ্বাস করত, এখনও সেভাবেই বিশ্বাস করবে। '
তিনি আরও বলেন, 'তবে আপনি যদি ওভাবে বলেন, করতেই পারে (অবিশ্বাস), এটা আসলে অস্বাভাবিক কিছু না। মনের কোণায় সন্দেহ জাগতেই পারে, এটা নিয়ে আফসোসের কিছু নেই। কারণ ঘটনাটাই এরকম, যে কোনো সময় যে কারও মনের কোণায় সন্দেহ জাগতে পারে। তবে আমার ধারণা, আমার প্রতি সবার আগে যে বিশ্বাস ছিল, এখনও থাকবে। '
ভবিষ্যতে যেন আর কোনো ধরনের বিতর্ক তৈরি না হয় সেই দিকে বেশি লক্ষ্য রাখবেন সাকিব। আর কোনো বিতর্কিত কাজ করতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা কেউই চায় না বিতর্কে জড়াতে। সবাই চায় সচেতন থেকে বিতর্ক এড়াতে। কিন্তু কিছু মানুষকে দিয়ে হয়তো সেটা সবসময় সম্ভব হয় না। সামনে আমি অবশ্যই আরও সতর্ক থাকার চেষ্টা করব যেন একদমই বিতর্ক না হয়। '
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
আরএআর/ইউবি