জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন টি-ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। নাটকীয়তায় ভরা শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েনরা হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছিল সুপার ওভারে জিতে।
এবার তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ... উইকেটে হারিয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েসলি মাধেভেরের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমের ঝড়ো ফিফটিতে ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান করে পাকিস্তান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৫ রানে ডাক মেরে বিদায় নেন ওপেনার চামু চিভাভা। অধিনায়কের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস। ঝড়ের আভাস দিলেও টেইলর সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২০ রানে। এরপর মাধেভেরের ব্যাটে এগোতে থাকে জিম্বাবুয়ে।
সেট হওয়ার পরও বেশিক্ষণ উইকেটে টেকেননি উইলিয়ামসও (২৫)। তার বিদায়ের পরপর দ্রুত ফিরে যান সিকান্দার রাজা (৭) ও রায়ান বার্ল (৮)। তবে শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন এল্টন চিগুম্বুরা। ১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৮ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুয়েকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়ে মাধেভেরে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ১ ছয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও বাবর আজম। দুজনে ওপেনিং জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ১২ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন ফখর। এরপর বাবরের ব্যাটে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে পাকিস্তান। হায়দার আলী (৭) ফিরলেও দলকে চাপের মুখে পড়তে দেননি তিনি।
মোহাম্মাদ হাফিজের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি তুলে নেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। বাবর বিদায় নেন দলীয় ১৪২ রানে। তার ৫৫ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ১ ছয়ে। এরপর জয়ের জন্য ১ রান প্রয়োজন থাকতে মুজারাবানির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাফিজ (৩৬)। জয়ের কাজটি সারেন খুশদিল শাহ (৫)। কোনো রান না করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
ইউবি