বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট করা হয়।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ফিটনেস টেস্টে পাশ মার্ক ১১, সেখানে নাসিরের স্কোর ৮। যারা ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারেননি তাদের আর কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে নাসিরের ফিটনেস কন্ডিশন দেখে প্রধান ফিটনেস ট্রেনার নিক লিও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এতে বিব্রত হয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, 'ওর (নাসিরের) তো খুব খারাপ অবস্থা। ও খেলতে পারবে না। ৮ তো আমিই টেস্ট দিলে পাব। যারা ফেল করছে তাদের আর কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হলেও অনুশীলন করতে হয়। আপনি এসেই তো আর পাশ করতে পারবেন না তাই না? আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস ভালো করেছে। এতেও ওর (নাসিরের) শিক্ষা হয়নি? তাই বলে মাত্র ৮! নিক লিও দেখে হাসছে। লজ্জাজনক। একজন জাতীয় পর্যায়ের প্লেয়ার, প্রথম শ্রেণির চুক্তিভুক্ত প্লেয়ার, তার ফিটনেস লেভেল হলো ৮!'
নাসির ছাড়াও পাস করতে পারেননি সোহাগ গাজী। ফিটনেস টেস্টে যারা পাশ করতে পারেননি তাদেরকে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নান্নু।
তিনি বলেন, 'সোহাগ গাজীর কথাই ধরুন না, ওর ফিটনেস লেভেল ৯। যারা ফেল করেছে ওদের নিয়ে আর নতুন করে ভাবার কিছু নেই। দুই বছর হল ওদের নিয়ে দৌড়াচ্ছি। আর সম্ভব না। নিজের ফিটনেস নিজের কাছে। এটা কী আমি আপনি করে দিতে পারব? আপনি যতদিন ফিট থাকবেন খেলবেন, না হলে খলবেন না। আমার মনে হচ্ছে নাসিরের ক্রিকেট খেলার ইচ্ছেই নাই। আমাকে নিক লিও একই কথা বলেছে যে, ওর তো খেলার ইচ্ছাই নাই। সোহাগ গাজীরও একই অবস্থা। '
মঙ্গলবারের পরীক্ষায় প্রায় ৬৫ শতাংশ ক্রিকেটার ১১-এর ওপর স্কোর করেছেন। সর্বোচ্চ ১৩.৬ পেয়েছেন পেসার মেহেদী হাসান। এর আগের দিন রাজ্জাক, আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিসরা ১১-এর ওপর স্কোর পেয়েছেন। তবে দিন ধরে চলা ফিটনেস পরীক্ষায় ছিলেন না নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বুধবার পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার ড্রাফট। ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ ক্রিকেটার, জাতীয় দল, এইচপির খেলোয়াড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ক্রিকেটার থাকছেন এই ড্রাফটে।
বাংলাদশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম