বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দুই ম্যাচে জিতে বেশ ভালো সূচনা করেছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তবে পরের ছয় ম্যাচে টানা পরাজয়ে প্লে অফে খেলা কঠিন করে ফেলেছে পদ্মাপাড়ের দলটি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাকে যদি বরিশাল হারিয়ে দেয় তবে বরিশাল চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করবে। আর যদি বরিশাল হেরে যায় তবে রাজশাহী ও বরিশালের সমান চার পয়েন্ট হওয়ায় রান রেটের হিসেব নিকেশ করতে হবে। তখন রাজশাহীর প্লে অফের খেলার সুযোগ তৈরি হতে পারে। বরিশাল হারলেই রাজশাহীর সুযোগ থাকবে প্লে অফে খেলার।
মিরপুরে আগে ব্যাট করে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের অর্শতকে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস। ফলে ৩৬ রানের সহজ জয় পায় চট্টগ্রাম।
১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রাজশাহী। সেই চাপ আর পরে ব্যাটসম্যানরা কেউ সেই চাপ সামাল দিতে পারেনি। চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান রেট বাড়াতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৯ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস। ফলে ৩৬ রানের সহজ জয় পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর নুরুল হাসান সোহান ২৮ ও শেখ মেহেদি হাসান ২৬ রান করেন। চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম ৩টি, জিয়াউর রহমান ২টি এবং মোস্তাফিজুর রহমান, শরফুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করেত নেমে চট্টগ্রামকে ভাল সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। রাজশাহীর বোলারদের বেশ ভালো ভাবেই খেলতে থাকেন তারা। শতরানের জুটি গড়েন লিটন-সৌম্য। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। প্রথমে ৪০ বলে অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য। এরপর ৩৮ বল অর্ধশতক তুলে নেন।
দলীয় ১২২ রানের মাথায় সৌম্য ৪৮ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। ৩টি চার ও ৩টি ছয়ে মারে সাজানো ছিল সৌম্যের ইনিংস। এরপর দলীয় ১২৬ রানের মাথায় লিটন ৪৩ বলে ৫৫ রানে আউট হন। । লিটনের ইনিংস ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল।
এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান রানের দেখা পায়নি। শামসুর রহমানের অপরাজিত ১৭ বলে ২৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে চট্টগ্রাম।
রাজশাহীর আনিসুল ইসলাম ইমন ২টি এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রেজাউর রহমান রাজা ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
আরএআর/এমএমএস