হারলেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবতে হতো পাকিস্তানকে। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে সেই লজ্জা এড়িয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছিল কিউইরা। এবারও তাদের চোখ ছিল শেষ ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার দিকে। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে রিজওয়ানের ফিফটিতে ২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান করে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে ব্ল্যাক ক্যাপরা। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করে সাজঘরে ফেরেন মার্টিন গাপটিল (১৯)। এরপর ম্যাচের লাগামটা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেন ফাহিম আশরাফ। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (১) বোল্ড করার পর আরেক ওপেনার-উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্টকেও (৩৫) বোল্ড করেন তিনি।
তবে বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে যান ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস। দুজনের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন শাহীন অফ্রিদি। ২০ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরান তিনি। ফাহিম নিজের তৃতীয় শিকার বানান জিমি নিশামকে (২)। তবে স্কট কুগেলেজিনকে (১৪) সঙ্গে নিয়ে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। ইনিংসের শেষ তিন বল বাকি থাকতে হারিস রউফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ১ ছয়ে। টিম সাউদি ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাঠে নামলেও কোনো বলের মুখোমুখি হননি কাইল জেমিসন।
১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানও প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪০ রানে। ওপেনার হায়দার আলীকে (১১) হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার রিজওয়ান ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি। আগের ম্যাচে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা হাফিজকে (৪১) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কুগেলেজিন।
দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের পথে রাখেন রিজওয়ান। তাকে কিছু সময়ের জন্য সঙ্গ দেন খুশদিল শাহ (১৩)। তবে ১৮তম ওভার করতে এসে ম্যাচ জমিয়ে দেন সাউদি। পরপর দুই বলে ফাহিম (২) ও অধিনায়ক শাদাব খানকে (০) সেইফার্টের গ্লাভসে ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ সৃষ্টি করেন তিনি।
চাপটাকে সামাল দেন ইফতেখার আহমেদ। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে ম্যাচে উত্তেজনা নিয়ে আসেন জেমিসন। দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কনওয়ের হাতে বন্দী হন তিনি। পাকিস্তানের রান তখন ১৭১। রিজওয়ানের ৫৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ৩ ছয়ে।
পাকিস্তানের যখন ৩ বলে ৩ রান প্রয়োজন তখেন জেমিসনের চতুর্থ বলে বলে ছক্কায় হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ইফতিখার (১৪)।
জয় এনে দেওয়া ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিজওয়ান। প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন সেইফার্ট।
বাংলাদেশ সময: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
ইউবি