সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের শেষদিন বিতর্কিত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন স্টিভেন স্মিথ। প্রতিপক্ষের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের ‘গার্ড মার্ক’ মুছে দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন এই অজি তারকা।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো বটেই, সাবেক অনেক ক্রিকেটারও স্মিথের অখেলোয়াড়ি মনোভাবের দিকে আঙুল তুলেছেন। এদিন পানিপানের বিরতির সময় পন্থ যখন পানীয় নিতে গেলেন, স্মিথ ফিল্ডিং থেকে পিচের ওপর এলেন। তারপর পন্থের ক্রিস মার্কস তুলে দিলেন পা দিয়ে ঘষে। কিন্তু স্মিথ হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, আধুনিক ক্রিকেট প্রযুক্তি নির্ভর। এখন চুরি করে পার পাওয়া সহজ নয়। স্মিথের কাণ্ড ধরা পড়ল ক্যামেরায়। আর স্টাম্প ক্যামেরায় তোলা সেই ভিডিও ভাইরাল হতেও বেশি সময় লাগল না। স্মিথের ছবি স্পষ্ট দেখা না গেলেও জার্সি নম্বর ৪৯-ই সেটা প্রমাণ করে দেয়।
এদিকে স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তারকা এ ব্যাটসম্যান অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন এবং আঘাত পেয়েছেন। স্মিথ বলেন, ‘এই ব্যাপারটা আমি প্রতিটা ম্যাচেই করি। ক্রিজে শ্যাডো ব্যাটিং করার মাধ্যমে কল্পনা করার চেষ্টা করি, আমাদের বোলাররা কোথায় বল করছে। কী ভাবে আমাদের বোলারদের খেলছে ব্যাটসম্যান। তার পরে অভ্যাসবশত আমি ক্রিজে ও রকম ভাবে মার্ক করি। ’
কিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্যি লজ্জার যে ভারতের দারুণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা চাপা পড়ে যাচ্ছে এটা এবং আরও কয়েকটা ঘটনার জন্য। ’
সমালোচনা হলেও স্মিথের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন। তিনি বলেন, স্মিথের এ রকম অদ্ভুত কয়েকটা অভ্যাস আছে। স্মিথকে যারা চেনে, তারা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। পেনের কথায় ‘আপনারা যদি টেস্টে স্মিথকে ভাল করে লক্ষ্য করেন, তা হলে দেখবেন, প্রতি ম্যাচে এই কাজটা ও পাঁচ-ছ’বার করে থাকে। ’’ যোগ করেন, ‘‘ক্রিজে দাঁড়িয়ে ও শ্যাডো করে চলে। আমরা সবাই জানি, স্মিথের কিছু অদ্ভুত স্বভাব আছে। যার মধ্যে একটা হল, ওই ব্যাটিং ক্রিজের মাঝে জুতো দিয়ে দাগ কাটা। ’’
পেন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, স্মিথ কোনও ভাবেই ঋষভের ‘গার্ড মার্ক’ মুছে বা বদলে দেয়নি। যদিও চা বিরতির পরে আবার ঋষভকে নতুন করে ‘গার্ড’ নিতে হয়। অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের কথায়, ‘‘ঋষভের গার্ড মার্ক মোটেই বদলাচ্ছিল না স্মিথ। সেটা যদি হত, তা হলে ভারতীয়রা নিঃসন্দেহে ব্যাপারটা নিয়ে জলঘোলা করত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এমএমএস