সাকিব আল হাসান পুরো সফরেই নেই। এরপর ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল।
হ্যামিল্টনে রোববার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এহেন পরিস্থিতিতে তরুণদের প্রতি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কাঁধের ইনজুরির কারণে এমনকি পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই ছিটকে যেতে পারেন মুশফিক। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের আগে তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফলে বাকি দুই ম্যাচে দলের তরুণদের কাছেই সব প্রত্যাশা মাহমুদউল্লাহর। বিশেষ করে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফিফ হোসেনে (৪৫ রান) ও নাঈম শেখ (২৭ রান) আশা দেখাচ্ছেন অধিনায়ককে। বোলিংয়ে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ ৩০ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েও নজর কেড়েছেন।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটি তরুণদের জন্য ভালো একটি সুযোগ ছিল। বিশেষ করে নাইম শেখ, আফিফ, দুজন অভিষিক্ত (নাসুম ও শরিফুল) খেলোয়াড়ের জন্য। এটি তাদের জন্য সুযোগ বিশ্বকে দেখানোর, তারা কতটা ভালো। হ্যাঁ, আমরা হয়ত সবসময় সব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একসঙ্গে পাবো না, কিন্তু আমাদের সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেখাতে হবে যে সে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। ’
হারলেও প্রথম ম্যাচে বেশকিছু সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দল সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। তবে লক্ষ্যটা আরেকটু কম হলে হয়তো ভালো কিছু সম্ভাবনা ছিল, এমনটাই মত তার, ‘আমরা মাঠে সুযোগ পেয়েছিলেম। প্রথম কয়েক ওভারে আমরা কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়েছি। তাদের রান রেটও সাতের নিচে ছিল। কিন্তু ডেভন কনওয়ে (৮৯) যেভাবে ব্যাট করেছে… গত কয়েক ইনিংসে সে ধারাবাহিক। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরাও সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার মতে বোলাররা ভালো বল করেছে, তাদের তেমন দোষ দেওয়ার সুযোগ নেই। হয়তো কিছু ফিল্ডিং মিসের কারণে বাড়তি বাউন্ডারি হয়েছে। যদি লক্ষ্যটা ১৯০ এর আশেপাশে থাকতো, তাহলে হয়তো তাড়া করা যেতো। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পারিনি। এটা হচ্ছে, একই ভুল বার বার করে যাচ্ছি। কিন্তু একটা ইতিবাচক দিকও আছে, আর তা হলো জেতার ইচ্ছা। টি-টোয়েন্টি অনিশ্চয়তার খেলা। নির্দিষ্ট দিনে ১০০-১২০ রানেও অলআউট হতে পারি, কিন্তু জেতার ইচ্ছা থাকতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
এমএইচএম