জাতীয় ক্রিকেট লিগে সোমবার বরিশাল বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচে একদিনেই পতন হয়েছে ২১ উকেটের! বোলারদের দিনে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন সোহাগ গাজী।
উইকেটে শুরু থেকে সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। বিকেএসপির উইকেটে প্রথম থেকেই বল ঘুরেছে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ১০ রানে নেই ২ উইকেট। এই ধাক্কা বরিশাল আর সামলাতে পারেনি। পরের ৮ উইকেট ভাগ করে নেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও তাইজুল। চার ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউই দুই অংক ছুঁতে পারেননি। প্রথম সেশনেই ২৯.৩ ওভারে ৮২ রানে অল-আউট হয় বরিশাল। তাইজুল ৩৯ রানে ৪টি আর সানজামুল ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেছিল রাজশাহী। বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলে দারুণ সূচনা এনে দেন তানজিদ হাসান আর জহুরুল ইসলাম। এরপরেই ধসের শুরু। ৫১ থেকে ৮৬ এই ৩৫ রানের মাঝেই তাদের ৮ উইকেট চলে যায়। এর ছয়টিই নেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। ১০ নম্বরে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীর (৪৩) সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন তাইজুল (৩৭)। দুই রানের চেষ্টায় জুনায়েদ রান আউট হলে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।
এই নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে ২২ বার ৫ উইকেট নিলেন সোহাগ গাজী। ২০ উইকেট পতনের পর প্রথম দিনেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বরিশাল বিভাগ। যথারীতি বাজে শুরু হয়। শুরুতেই সৈকতকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল। একদিনে দুইবার আউট হলেন সৈকত। দিনের বাকি সময় মইনুল ও রাব্বি নিরাপদে পার করে দেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের রান ১ উইকেটে ২১ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
এমএমএস