বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে এসে অস্ট্রেলিয়ার পর এবার নিউজিল্যান্ডও রান খরায় ধুঁকছে। মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোনোভাবেই বড় কোনো স্কোর করতে পারছে না ক্রিকেটাররা।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ভিডিওবার্তায় সাইফউদ্দিন বলেন, ‘মিরপুর আমাদের চেনা কন্ডিশন। আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই আমি এই উইকেটে খেলেছি। এই উইকেট আমার জানা। স্পিন উইকেট হওয়ায় পেসারদের আরও সুবিধা হয়েছে। কাটার বেশি ধরছে অন্য উইকেটের চেয়ে। তাই আমরা সুবিধাটা পেয়েছি। ওরা স্পিন বলে রান নিতে পারছিল না, চান্স নেওয়ার কারণে আমরা উইকেটগুলো পেয়েছি, যেমন মুস্তাফিজ। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ উইকেট বের করার। ’
এই উইকেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে দেশের বাইরে গিয়ে কী করবেন টাইগার পেসাররা? জবাবে যুক্তি দেখিয়ে সাইফ বলেন, ‘একজন পেস বোলার হিসেবে আমাকে সব কন্ডিশনে সব উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা যেহেতু ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি, তাই আমাদের সামনে উইকেটের কন্ডিশন অনুযায়ী, আচরণ অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। পরের ম্যাচে উইকেটের আচরণ যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে আমরা পেস বা ইয়র্কার, স্লো বাউন্সার, ওয়াইড ইয়র্কার- এসব দিকে যাব। যেহেতু এখানে বর্তমানে কাটারটা বেশি কার্যকর, তাই আমরা এই জিনিসটা করছি। সামনের ম্যাচগুলোতে উইকেট যদি ব্যাটিং সহায়ক হয়, তখন আমরা ব্যাক অব লেন্থে জোরে বল করার চেষ্টা করব এবং ইয়র্কার দিব। আমাদের বোলিং কোচ বা হেড কোচ যখন যা পরিকল্পনা বলে দেন, আমরা সেই অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে পেস ইউনিট আছে, তারা সবাই জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ভালো করে আসছে। আর মিরপুরে তো আমাদের বোলারদের জন্য বাড়তি একটা সুবিধা থাকেই। সামনে আমাদের বিশ্বকাপ প্রথম পর্বের ম্যাচ আছে, দুবাইয়ে হবে। আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা যদি এখানে ভালো করে অভিজ্ঞতাটা নিয়ে যেতে পারি; হয়তো এখানকার অভিজ্ঞতা খুব একটা কাজে লাগবে না, কিন্তু আত্মবিশ্বাসটা যদি নিয়ে যেতে পারি তাহলে সেখানে মানিয়ে নিতে পারব। আমাদের বোলাররা দক্ষ। বিভিন্ন কন্ডিশনে বোলিং করে অভ্যস্ত। আশা করি মানিয়ে নিতে পারব। ’
সাইফউদ্দিন মনে করিয়ে দেন, সর্বশেষ সিরিজগুলোতে একটানা জয়ের ধারায় থাকা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। তার ভাষায়, ‘যখন আমরা ম্যাচ জিতি, তখন শুধু ক্রিকেটাররা না, সারা বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়। দিনশেষে সবাই আসলে বাংলাদেশের জয়টা দেখতে চায়। হয়তো কন্ডিশন একটু ভিন্ন, কিন্তু আমরা প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্যই খেলি। সেটা ১৯০ রান চেজ করাই হোক আর ৯০ রান চেজ করাই হোক; জয়টাই মূখ্য। শেষ কয়েকটি সিরিজ আমাদের দল দুর্দান্ত খেলে আসছে। বিশ্বকাপ খেলতে গেলে যদি সেখানকার কন্ডিশন ভিন্ন হয়, তখন অনুশীলনের সুযোগ পাব এবং সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
আরইউ