থিতু হয়ে ব্যাট করা মুশফিককে সঙ্গ দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু চতুর্দশ ওভারে ম্যাকনচির প্রথম বলেই ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাঝঘরে ফিরেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এর আগে রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমেই মারকুটে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসে কোল ম্যাকনচির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে সাঝঘরে ফিরলেন লিটন দাস। পরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বলে নিকলসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি হাসান। ১ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। মাঠে নেমেই একই ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাকনচির হাতে ক্যাচ তুলে ০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
পাওয়ার প্লে-তে আশানুরূপ রান তুলতে পারেনি টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে রাচিন রবিন্দ্রের পেস বুঝতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। স্টাম্পে বল টেনে এনে ১৯ বলে ১৩ রান করে ফিরলেন এ ওপেনার। তারপর ক্রিজে নেমে ভালে কিছু করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। নিজের শততম টি-টোয়েন্টিতে নেমে প্যাটেলের বলে নিকলসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩ রানেই সাঝঘরে ফিরেন টাইগার দলপতি। পরের বলেই বিদায় নিলেন আফিফ হোসেন। এজাজ প্যাটেলের বল উইকেটে পড়ে কীভাবে স্টাম্পে আঘাত হেনেছে টেরও পাননি এই বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দুই ওভার ভালোভাবেই কাটিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরপর বাংলাদেশের বোলিং তোপে পতন হয় বেশ কয়েকটি উইকেটের। তবে শেষদিকে হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের দারুণ জুটিতে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় কিউইরা।
মাঠে নেমেই করোনা নেগেটিভ হয়ে দলে ফেরা ওপেনার ফিন অ্যালেন শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে অবতীর্ণ হন। প্রথম ওভারেই মেহেদিকে দুই বাউন্ডারিতে ১১ রান তুলে নেন এই ওপেনার।
কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই ১০ বলে ৩ চারে ১৫ রান করা বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মিড-অনে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই পেসারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ২০ বলে ৩ চারে ২০ রান করা উইল ইয়াং। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০)। আবারও রিভিউ নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হয়। এরপর আক্রমণে এসে নিজের দ্বিতীয় ওভারে রাচিন রবিন্দ্রকে ফেরান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এরপর ১১তম ওভারে কিউই অধিনায়ক ল্যাথামকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মেহেদী হাসান।
ল্যাথামের বিদায়ের পর জমে উঠে হেনরি নিকলস ও টম ব্লান্ডেলের জুটি। ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ খেলে দলের জন্য উল্লেখযোগ্য স্কোর এনে দেন এ দু’জন। হেনরি ২৯ বলে ৩৬ রান ও ব্লান্ডেল ৩০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
আরইউ